নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে কোন দল ও মত কিংবা ব্যক্তি বিশেষের পছন্দের কোন প্রভাব যাতে না পড়ে সে দিকে সতর্ক থাকতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, পাহাড়ে নির্বাচনের বিষয়ে কমিশন প্রত্যেকটা কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তিন পার্বত্য এলাকার অবস্থানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতার লক্ষে আমরা একত্রিত হয়েছি। তিনি ভোটারদের ভোট প্রদানের ক্ষেত্রেও যাতে কোন প্রভাব না পড়ে সে দিকটিও নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইনস্টিটিউটে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলার আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় এ নির্দেশ দেন।
সিইসি কে এম নুরুল হুদা আরও বলেন, দেশে নির্বাচনের সুস্থ পরিবেশ বিরাজ করছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয়েছে বলে সকলেই প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। আর প্রচার প্রচারণা চালাতে গিয়ে কেউ তো বাধা প্রদান করছে না কোন প্রার্থীকে।
তিনি বলেন, দুই একটি বিছিন্ন ঘটনা ঘটলেও তা আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের এবার সর্বাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন তাদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। যারা ভোটার তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কীভাবে ভোট দেবেন তার নিশ্চিয়তা প্রদান সকলের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় ভিন্ন ভাবে না হয়ে সমতলের মতো এখানে সুন্দর নির্বাচন হবে এবং সেই ক্ষেত্রে যারা এখানে প্রশাসনের সর্বস্তরে জড়িত আছেন তাদের প্রয়োজন হবে। তার বাইরে যারা রাজনীতিবিদ আছেন, যারা সমাজের সচেতন মহল আছেন, যারা ভোটার আছেন, জনসাধারণ আছেন তারাও প্রত্যেকের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে দৃঢ় থাকবেন। নিজেদের ভোটের অধিকার নিজেরা নিশ্চিত করবেন।
সিইসি বলেন, তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদের সকলের সহযোগিতায় ভোটার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রার্থী, প্রার্থীদের সমর্থক এবং তাদের সাথে প্রশাসনের অবকাঠামো, প্রশাসনের যন্ত্র, সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি এদের সকলের সহযোগিতায় আগামী ৩০ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। যে নির্বাচনটি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যে নির্বাচনের মাধ্যমে একটা জাতির সরকার পরিবর্তন হবে। নতুন একটি সংসদ ও সংসদের দায়িত্বভার গ্রহণ করবে সেই নির্বাচনটি আপনাদের সকলের সহযোগিতায় ও অংশগ্রহণে সুন্দর হবে, সার্থক হবে।
সভায় নির্বাচন কমিশনার অবশরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিবিশনের চৌধুরী মো. আজিজুল হক হাজারী।
আইন-শৃঙ্খলা সভায় তিন পার্বত্য জেলার, তিন জেলা প্রশাসক, তিন পার্বত্য জেলার রিজিয়ন কমান্ডার, তিন পার্বত্য জেলার বিজিবি কমান্ডার, তিন জেলার পুলিশ সুপার, সহকারী নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।