তিন বছরের শিশু কন্যা পায়ে পায়ে গিয়ে পৌঁছাল পুলিশ পোস্টে। উদ্দেশ্য মা-র বিরুদ্ধে নালিশ জানানো। অভিযোগের তালিকাও দীর্ঘ—স্কুলে পাঠান না মা, বিছানার বদলে তাকে খড়ের গাদায় শুতে বাধ্য করেন এবং তার চেয়ে ছোটভাইকে বেশি যত্ন করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
তিন বছরের শিশুকে নির্দ্বিধায় পুলিশের কাছে এসে নালিশ জানাতে দেখে অবাক হন কবীরনগরের পাঁচপোখরি পুলিশ পোস্টের সাব ইন্সপেক্টর। শিশুটির সব অভিযোগ শুনে অবশেষে তার হাত ধরেই অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি।
সাহসী এই মেয়েটির নাম ফলক। তার বাবা মকসুদ খান মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন।
সাব ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র যাদব বলেন, ‘গ্রামবাসীরা আমাদের জানালেন ফলক সবাইকে জিজ্ঞাসা করেছে পুলিশ ঘর কোথায় আছে। একটা ছোট্ট বাচ্চাকে একা একা পুলিশ স্টেশনে আসতে দেখে খুবই অবাক হয়েছিলাম। ও এসে আমাকে বলল যাতে ওর মা আসমা খানকে আমি বকে দিই।কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, তাকে মা স্কুলে পাঠান না, খড়ের গাদায় শুতে দেন এবং সাত মাস বয়সী ছোট ভাইকেই বেশি ভালোবাসেন।’
অভিযোগ শুনে ফলকের বাড়িতে যান পুলিশ কর্মকর্তা। মাকে বুঝিয়ে বলেন যাতে রোজ ফলককে স্কুলে পাঠান তিনি। অভিযোগ স্বীকারও করেছেন শিশুটির মা। তিনি জানান, সাত মাসের সন্তানের দেখভাল করতে গিয়ে মেয়ের খেয়াল রাখতে পারছেন না ভালো করে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে কমবয়সী অভিযোগকারী ও। তাই ওর হাত ধরেই বাড়ি গিয়েছিলাম সমস্যার সমাধান করতে।’
বড় হয়ে কী হতে চায়, সাংবাদিকরা সেকথা জানতে চাইলে ফলকের চটজলদি জবাব ‘ডাক্তার’। পুলিশদেরকেও তার খুব পছন্দ। ডাক্তার হতে চায় বলে সে একদিনও স্কুল কামাই করতে নারাজ ফলক।