মিরসরাই(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি
বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন ইপসার উদ্যোগে বন ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় পিপলস ফোরাম গঠন কল্পে এক কর্মশালা গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাতা সংস্থা আরন্যক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় বন ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষাএবং সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রকল্পের আওতাধীন দশটি বন নির্ভর দলের মধ্যে বিকল্প আয়বর্ধনমূলক কাজের জন্য ১ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
মিরসরাই উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। ইপসার এ্যাসিসটেন্ট রিসার্সার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন ও জীববৈচিত্র্য এবং সংরক্ষন প্রকল্পের কর্মসূচী কর্মকর্তা অসীম বড়ুয়া। কর্মশালায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মিরসরাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন সেলিম, মিরসরাই ফরেস্ট রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুলস্ন্যাহ।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, একসময় পাহাড়ী বনাঞ্চল প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ এবং প্রাণী সম্পদে ভরপুর ছিলো। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, পাহাড়ে আগুন দেওয়াসহ নানা কারণে আজ সেসব সম্পদ প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে।
বক্তারা বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সমন্বয় সাধরণ করে বনজ সম্পদ রক্ষায় যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা গেলে বৃক্ষ নিধন রোধ হবে। বনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বন নির্ভর জনগোষ্ঠীকে অন্য পেশার সাথে সম্পৃক্ত করা গেলে বন ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সংর সংরক্ষন র কাজ তরান্বিত হবে। বন ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় ইপসার এ উদ্যোগ প্রসংশনীয় বলে বক্তারা মমত্মব্য করেন।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাওয়াছড়া সেচ প্রকল্পের সভাপতি মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সহস্রধারা বহুমুখী সেচ প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ, ব্যবসায়ী এবং সমাজ সংগঠক কামাল উদ্দিন, বারৈয়াঢালা ইউপি সদস্য রফিক উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, আবু বক্কর প্রমুখ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সর্বসত্মরের প্রতিনিধিরা পিপলস ফোরাম গঠণে তাদের মতামত প্রদান স্বাপেক্ষে সর্ব সম্মতিক্রমে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।