মেহেদী হাসান তুহিন , দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধিঃ গত বছরের উৎপাদিত প্রায় পুরোটাই চিনি অবিক্রিত গুদামজাত অবস্থায় রেখে শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী কেরম্ন চিনিকলের উৎপাদন শুরম্ন হয়েছে। চলতি বছর প্রায় ৫ হাজার মেঃটন চিনি উৎপাদনের লÿ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেরম্ন চিনিকল কর্তৃপÿ সূত্রে জানা যায় চলতি ২০১২-১৩ মাড়াই মৌসুমে ৭০ হাজার মেঃটন আখ মাড়াই করে প্রায় ৫ হাজার মেঃটন চিনি উৎপাদনের লÿ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫৬ দিন চালু রেখে ৭ দশমিক ২৫ ভাগ চিনি আহরণের টার্গেট নিয়ে প্রাচীনতম এ চিনিকলের ৭৩ তম মাড়াই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরম্ন হলো। শুক্রবার চিনিকলের কেন কেরিয়ার প্রাঙ্গনে দোয়া অনুষ্ঠানের পর ডোঙ্গায় আখ নিÿÿপের মাধ্যমে চলতি মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়।
গত ২০১১-১২ মৌসুমে কেরম্ন চিনিকলটি ৫৯ দিনে প্রায় ৬৪ হাজার মেঃটন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৩ শত ৫৩ মেঃটন চিনি উৎপাদন করে। এছাড়া পরীÿামূলক ভাবে আরও ১৯ মেঃটন র’’ সুগার উৎপাদন করা হয়। গত বছরের উৎপাদিত ২১ কোটি ৪২ লাখ টাকা মূল্যের ৪ হাজার ২শত ৮৪ মেঃটন চিনি অবিক্রিত অবস্থায় গুদামে রয়েছে। চিনিকলের উৎপাদিত চিনি সময়মত বিক্রি না হওয়ায় চিনি নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছে কর্তৃপÿ। চলতি বছর চিনি বিক্রিতে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে আখ চাষীদের আখের মূল্য পরিশোধ করাও দুরম্নহ হবে। চলতি রোপন মৈŠসুমে আখচাষীদের আখ চাষে যে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছিল তার উপর বিরম্নপ প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে। চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম সুদর্শন মলিস্নক জানান, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া চিনিকলটির বিএমআর করণের জন্য ইতোমধ্যেই ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা সরকার বরাদ্দ করেছে। চিনিকলটি আধুনিকরণ করার কাজ সম্পন্ন হলে এটি আবারো লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে তিনি আশা করেন। ###