মেহেদী হাসান তুহিন,দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধিঃ
দামুড়হুদা উপজেলায় ফসলি জমির উর্বর মাটি প্রতিনিয়ত কেটে নিচ্ছে ইট ভাটা দারালরা। এতে জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা। ইটভাটাগুলোর মধ্যসত্বভোগীচক্রের দালালরা সহজ-সরল কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের ফসলি জমির উর্বর মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। এ সকল কৃষক দালালচক্রের ফাঁদে পড়ে না বুঝে মূল্যবান ফসলি জমির উর্বর মাটি ইটভাটার পেটে দিলেও কৃষকের চেয়ে লাভবান হচ্ছে মধ্যসত্বভোগীরা।
কৃষিবিদদের মতে, ফসলি জমিতে মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা শক্তি হারিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে এলাকায় খাদ্যশস্য উৎপাদন দিন দিন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ফসলি জমির উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিতি।এখানকার মাটিতে ধান, পাট, আখ, ভুট্টাসহ নানা প্রকার সবজি উৎপাদনে সাফল্য ঈর্ষণীয়। মধ্যসত্বভোগী দালালচক্র প্রথমে চাষিদের টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের জমির মাটি বিক্রির প্রস্তাব দেয়। চাষিরা তাদের ফাঁদে পা দিলে দালালচক্র সুযোগ বুঝে তাদের চাহিদা মতো জমির উর্বর মাটি কেটে নিয়ে যায়। জমি থেকে এ মাটি কাটার ফলে পাশের জমিগুলো ভেঙে পড়ে ওই গর্তে। ফলে জমির মাটি কাটা নিয়ে পাশের জমির মালিকের সাথে লেগে থাকে ঝগড়া-ফ্যাসাদ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, দালালচক্রের দাপটে সাধারণ কৃষকরা অসহায়। তাদের দাবি প্রশাসন যদি ফসলি জমির উর্বর মাটি কাটা চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে মাটি কাটা বন্ধ হবে। নচেৎ সারা বছর ধরে ফসলি জমির মাটি কাটার এ উৎসব চলতেই থাকবে।এ ব্যাপারে কৃষি বিশেষজ্ঞ শাহ আকরামুল হক বলেন, প্রাকৃতিকভাবে মাটির ওপর যে স্তর পড়ে তা ফসল উৎপাদনে সাহায্য করে। মাটির ওপর নানা প্রকার সবুজ পাতা পড়ে প্রাকৃতিক সার তৈরি হয়। সেই সাথে ফসল উৎপাদনে সাহায্য করে। ফসলি জমির মাটি কাটার ফলে অনুজীব পযর্ন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘদিন যাবত ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। উর্বর ফসলি জমির মাটি কাটার ফলে এ সব জমিতে চাহিদামত ফসল উৎপাদন হবে না কয়েক বছর ধরে। একে রোধ করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।