ফয়সাল খবির, জীবননগর প্রতিনিধি:
মারাত্মক শব্দ দূষণের কবলে পড়েছে জীবননগর শহরবাসী। সকাল হতে গভীর রাতাব্দি একই সঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাইকিঙের শব্দ দুষণে অতিষ্ঠ মানুষ। ২০১৭ সালের গোড়ার দিকে মাইকিঙের ওপর বিধি নিষেধ অরোপ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ হতে প্রচারণা চালানো হয়। এ প্রচারণার পর বেশ কিছু দিন মাইকের অত্যাচার বন্ধ ছিলো; কিন্তু সম্প্রতি শহরে এতোটাই মাইকিঙের অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মানুষজন চরমভাবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘœ সৃষ্টিসহ তাদের কান ঝালাফালার উপক্রম। এ অবস্থায় দাবী উঠেছে শব্দ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের।
শহরের বসুতিপাড়ার আশাবুল হক অভিযোগ করে বললেন, প্রতিদিন সকাল হতে একই সঙ্গে ৭ থেকে ৮টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে বিজ্ঞাপন প্রচারণার জন্য শহরে মাইক বের করা হয়। তাদের মাইকিঙের কোন নিয়মকানুন নেই। নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখা হয় না। ফলে মুসল্লীদের নামাজে মনোযোগের বিঘœ সৃষ্টি হয়। অপর জন ইসলামপুরের শফিকুল ইসলাম জানালেন, প্রতিদিন সব থেকে বেশি মাইকিং করা হচ্ছে ইল্ট্রেনিক্সের কয়েকটি শো-রুমের পক্ষ হতে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিকিৎসক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নির্ভূল পরীক্ষার নামে চালনো মাইকিং। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি। চতূর্থ স্থানে রয়েছে সুখবর দিয়ে বিশাল ষাড় গরু ও পাহাড়িয়া মোষ জবেহ করে মাংশ বিক্রির মাইকিং। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ছাগল ও হাঁসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র হারোনোর মাইকিং। এর পর রয়েছে আরও অন্যান্য বিষয়ের ওপর মাইকিং। প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬টি সংস্থার ৭ থেকে ৮টি মাইক এক সাথে বের করায় মারাত্মক শব্দ দুষণ হচ্ছে। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শহরবাসী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারর নিকট মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে মারাত্মক এ শব্দ দুষনের কবল থেকে উপজেলাবাসীকে রক্ষা বাঁচানোর দাবী জানানো হয়েছে।