ডেস্ক রিপোর্টঃ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম পাঠ করেছিলেন এম এ হান্নান। পরদিন ২৭ মার্চ সেনাবাহিনীর একজন অফিসারকে দিয়ে ঘোষণাটি পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ শনিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রীর মতে, ‘ঘোষণাপত্র পাঠ করার জন্য প্রথমে মেজর রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি রণাঙ্গনে ব্যস্ত থাকায় পরে মেজর জিয়াউর রহমানকে বোয়ালখালী থেকে খুঁজে এনে ঘোষণাটি পাঠের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রথমে তিনি ভুল পড়েছিলেন, পরেরবার শুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণাটি পড়েন। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাবার জন্য এটি শোনানো প্রয়োজন।’
স্বাধীনতা সংগ্রামের পাশাপাশি, স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ গঠনেও বাংলাদেশ বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে মাঝি-মাল্লাদের কাছে বেতারই সম্বল, পাহাড়ের চূড়াতেও বেতারই শোনা যায়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলাতে মানুষকে স্বাস্থ্যসুরক্ষাসহ বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে বার্তা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ বেতার।
এসময় জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অফিসার পাকিস্তানের পক্ষে তার ভূমিকার জন্য প্রশংসা করে চিঠি লিখেছিল। জিয়া স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন।
যে শাহ আজিজুর রহমান পাকিস্তানের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সুতরাং ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’