মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, পাবনা :
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা সাবেক সৈনিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালকদের বিরুদ্ধে ডিপিএসের নামে গ্রাহকদের জমাকৃত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সাত মাস ধরে সমিতির অফিসটিও বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতারিত গ্রাহকরা জোনাইল বাজারে তাদের প্রাপ্য টাকার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। ১৯৯৮ সালে সাবেক সৈনিক বহুমুখী সমবায় সমিতি (রেজিঃ নং ১৬) জোনাইল বাজারে কার্যক্রম শুরু করে। শুরু থেকেই তারা গ্রাহকদের সঞ্চয়ী হিসাব ও নিয়মবহির্ভূতভাবে সাত বছরে দ্বিগুণ টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ডিপিএস চালু করেন।
সমিতির মোট ৪০০ সদস্য ডিপিএস গ্রাহকের লভ্যাংশসহ মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৩৬০ টাকা জমা থাকার কথা কিন্তু অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী এখন সমিতির ব্যাংক একাউন্টে মাত্র ২ হাজার টাকা এবং গ্রাহকদের মাঝে ঋণ দেয়া রয়েছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৬১ টাকা। এছাড়া ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৬ টাকা সভাপতির কাছে রয়েছে বলে অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৬৬ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৩ টাকার কোন হদিসই নেই। ব্যাংকে রাখা ২ হাজার টাকা ছাড়া পুরো টাকাই সমিতির পরিচালকরা আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি গ্রাহকদের।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক আব্দুস সালাম বলেন, আমার জমা দেয়া আমানত, ডিপিএস ও লভ্যাংশসহ ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা পাব কিন্তু এক বছর আগে আমার ডিপিএসের মেয়াদপূর্ণ হলেও সমিতির কর্মকর্তারা আমাকে একটি টাকাও দেয়নি। সমিতির কোষাধ্যক্ষ মোবারক হোসেন জানান, সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যাংকের পরিবর্তে টাকা নিজের কাছে রাখেন এবং তারাই সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সমিতির সভাপতি হযরত আলী বলেন, কিছু টাকা গ্রাহকদের মাঝে ঋণ দেয়া আছে। আর অবশিষ্ট টাকা সমিতির পরিচালকরা বিভিন্ন সময় নিজেদের কাজে খরচ করেছেন কিন্তু ফেরৎ দিচ্ছেন না বলেই আমি গ্রাহকদের টাকা ফেরৎ দিতে পারছি না। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রশাসন) ইব্রাহিম হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি আবেদন পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।