এম.বেলাল হোসাইন সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা সদর সদর-রেজিস্ট্রি অফিসে কথিত দলিল লেখক সমিতির নামে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। কথিত এ সমিতির গুটিকতক ব্যক্তির কাছে জমি ক্রেতা বিক্রেতারা বড় অসহায় হয়ে পড়েছে। জমি ক্রেতা বিক্রেতারা চরম হয়রানির শিকার হলেও মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে কথিত দলিল লেখক সমিতির অত্যাচার। ভুক্তভোগী মহল নিরূপায় হয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযোগকারী একাধিক সূত্র নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, প্রতিদিন সাতক্ষীরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ২ থেকে আড়াই কোটি টাকার জমি রেজিষ্ট্রি হয়। সরকারি সকল নীতিমালা জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা মেনে চললেও দলিল লেখক সমিতির কথিত নেতাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না তারা। সমিতির নামে শতকরা ১০ থেকে ১৫ টাকা হারে চাঁদা দিতে হচ্ছে সমিতির নেতাদের। সে হিসেবে জমি ক্রেতা বিক্রেতাদের নিকট থেকে প্রতিদিন কথিত নেতারা হাতিয়ে নিচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, কথিত দলিল লেখক সমিতির (অনিবন্ধিত) সভাপতি পরিচয়ে জনৈক আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে জনৈক নূরুল ইসলাম সহ গুটি কতক ব্যক্তি চষে বেড়াচ্ছেণ রেজিস্ট্রি অফিস পাড়া। আদায়কৃত চাঁদার টাকা সমিতির ওই সব নেতারা ভাগ বাটোয়ারা করে নেন বলে অভিযোগ করে সূত্র।
সূত্র আরো জানায়, সমিতির নামে জমি ক্রেতা- বিক্রেতাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদার টাকা ভূঁয়া ভাউচাররের মাধ্যমে ব্যয় দেখিয়ে অন্য সদস্যদের ফাঁকি দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, সমিতির নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন কে সামনে রেখে কথিত নেতারা কোমর বেঁধে চাঁদাবাজি করছে। ইতোমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকার প্রস্ত্ততি চলছে। সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে কথিত ব্যক্তিরা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সব কিছু জেনেও মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে। জমি ক্রেতা বিক্রেতাদের। এতে করে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে দলিল লেখক সমিতির (অনিবন্ধিত) সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, প্রতি লাখে সমিতিকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে তার জমির দলিল লেখা হয় না। তবে জমির ধরণ ও ও মূল্যের উপর চাঁদা নির্ধারণ হয় বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সাব-রেজিষ্ট্রার আবম খায়রুজ্জামান বলেন, আমি কিছুদিন আগে সাতক্ষীরায় এসেছি। সবেমাত্র যোগাদান করেছি। এখনো সব কিছু বুঝে উঠতে পারি নি। তবে এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনিঝ।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন,জমি রেজিষ্ট্রির নামে কোন প্রতারক চক্রের প্রশ্রয় দেয়া হবে না। চাঁদাবাজী ও প্রতারনার কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ প্রতীজ্ঞাবদ্ধ।