চীনের সেনাবাহিনী আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন-ফিলিপাইন নৌ মহড়া সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিরাজমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রথম চীনের শীর্ষ পর্যায় থেকে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হলো।
চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে জাহাজ পাঠিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী গণ-মুক্তি ফৌজের প্রধান মুখপত্র দৈনিক ‘লিবারেশন আর্মি ডেইলি’ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, বিতর্কিত সাগরে ফিলিপাইনের সাথে রেষারেষির পরিণামে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে এবং এ যুদ্ধের দায় ভাগ ওয়াশিংটনের ওপর বর্তাবে।
বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যখন বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে তখন মার্কিন -ফিলিপাইন ১৫ দিনের যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছে। এই নৌ মহড়া ফিলিপাইনের চারদিকের কয়েকটি সাগরসহ উত্তর চীন সাগরে হওয়ার কথা রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ মহড়ার পর্বটি আগামীকাল থেকে শুরু হবে বলে এর আগে ঘোষণা করা হয়েছে।
দৈনিক ‘লিবারেশন আর্মি ডেইলি’ আরো বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র এভাবে নাক গলানোর মাধ্যমে দক্ষিণ চীন সাগরে গোলোযোগপূর্ণ পরিস্থিতি উস্কে দিচ্ছে এবং এতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে।
তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ এবং জাহাজ চলাচলের দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত সাগর পথ দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া,ফিলিপাইন এবং তাইওয়ানের বিরোধ রয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার নৌ বাহিনীর একটি টাস্ক ফোর্স চীনের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়ার জন্য চীনের পূর্বাঞ্চলীয় একটি নৌ ঘাঁটিতে পৌঁছেছে। পীত সাগরে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া এ মহড়া চলতি মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানান হয়েছে।
সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার চুক্তির আওতায় ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন ও রাশিয়া