তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংলাপ শুরু হয়েছে। ১৫ মাস বন্ধ থাকার পর আজ আবার এ আলোচনা শুরু হলো। সংলাপের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে। তবে, এখনো বাগদাদ বৈঠকের তারিখ ঠিক হয়নি; ইস্তাম্বুল বৈঠক শেষে তা ঠিক করা হবে। ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সংলাপে ইরান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেও পাশ্চাত্য এ আলোচনাকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়।আজকের আলোচনায় ইরানের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব সাঈদ জালিলি। অন্যদিকে, ছয় জাতিগোষ্ঠীর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশ্টোন। চার সদস্যের ইরানি প্রতিনিধিদল গতকাল (শুক্রবার) ইস্তাম্বুল পৌঁছায়। আজকের সংলাপ শুরুর আগে গতরাতেই জালিলি এবং অ্যাশ্টোন তুরস্কের ইরানি কনস্যুলেটে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। সংলাপে ছয় জাতিগোষ্ঠীর পক্ষে অংশ নিচ্ছে রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি।
এদিকে, আজকের সংলাপে ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যার ঘটনাটি আলোচনায় এজেন্ডাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির উপ প্রধান ইসমাইল কাউসারি। তিনি বলেছেন, পরমাণু ইস্যুতে কোনোভাবেই পশ্চিমাদের প্রেসক্রিপশন মেনে নিতে পারে না ইরান।
গত ১১ জানুয়ারি ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোস্তফা আহমাদি রওশান রাজধানী তেহরানে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হন। তার আগে তিনি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র পরিদর্শকদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন। এ থেকে মনে করা হচ্ছে- মোস্তফা রওশানের বিষয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে আইএইএ। এ ছাড়া, ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে মাজিদ শাহরিয়ারি নামে অন্য এক পরমাণু বিজ্ঞানী সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হন। ওই হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে যান ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার বর্তমান প্রধান ড. ফেরাইদুন আব্বাসি। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হন ইরানের আরেক পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক মাসুদ আলী মোহাম্মাদি। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করা হয়।