বি. এম. ওয়াদুদ, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) থেকে:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরের মাংস বাজারে প্রকাশ্যে রোগাক্রান্ত গরু-ছাগলের মাংস বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকাশ, মাংস বাজারের সিদ্দিক, আক্তার, আজিজ, কুদ্দুস, জয়নাল ও কলেজ বাসষ্ট্যান্ডের রবিউল প্রতিদিন রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছে। এখানে প্রতিদিন অন্তত ১২/১৫টি গরু এবং ১৫/২০টি ছাগল জবাই হয়ে থাকে। জবাইকৃত এসব গবাদি পশুর অধিকাংশই রোগাক্রান্ত। কতিপয় মাংস ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, বেশির ভাগ গরু-ছাগল কসাইরা ভোর রাতে জবাই করে বাজারে নিয়ে আসে। লোকচক্ষুর অন্তরালে জবাই করা গবাদি পশুর অধিকাংশই রোগাক্রান্ত, গাভী ও ধাড়ী ছাগল। যার মধ্যে গত ২৭ মার্চ ভোর রাতে কলেজ বাসষ্ট্যান্ডের রবিউল ইসলাম পৌর শহরের সলেমানপুর গ্রামের ইদু সরদারের বাড়ি থেকে রোগাক্রান্ত চলতে অক্ষম একটি গরু তার বাড়ির উঠানেই জবাই করে মাংস বস্তায় ভরে নিয়ে এসে দোকানে বিক্রি করে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে কসাইরা এসব পশুর মাংস বিক্রি করে আসছে নির্বিঘ্নে। পৌর কর্তৃপক্ষ, পশু সম্পদ বিভাগ ও সেনিটারী ইন্সপেক্টরের রহস্যজনক নীরবতার কারণে কসাইরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে রোগাক্রান্ত পশুর মাংস বিক্রির ব্যবসা। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা সেনিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জীবিত পশুর ক্ষেত্রে তার কোন দায়িত্ব নেই। দায়িত্ব পশু সম্পদ বিভাগ ও পৌর কর্তৃপক্ষের। পৌর কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে পশু কর্মকর্তা এবং আমাকে নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন বলে তিনি জানান।