জীবননগর(চুয়াডাঙ্গা)প্রতিনিধি: জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুরে বিরোধপূর্ণ ১১৬ বিঘা জমি নিয়ে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে উক্ত জমির ওয়ারিশ দাবিদারগণ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জীবননগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছফুরা খাতুনের ওয়ারিশ দর্শনার মৃত হাজী লাল মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল হাই টুকু।
সংবাদ সন্মেলনে তিনি জানান, তার মা ছফুরা খাতুন ও চাচা আব্দুল জলিল দত্তনগর ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা হেমেন্দ্র নাথ দত্তের নিকট থেকে ১৯৫৩ সালে ৩৪২৬ খোস কবলা দলিলমূলে ৬৫ বিঘাসহ অন্যান্য শরিকগণ ১১৬ বিঘা জমি খরিদ করেন। ক্রয় সূত্রে মালিক হওয়ার পর অদ্যাবধি তারা উক্ত জমির খাজনা দিয়ে আসছেন। তিনিসহ উক্ত জমির অন্যান্য ওয়ারিশগণ তাদের জমিতে নিয়োমিতভাবে চাষাবাদ করা কালে উক্ত জমির মধ্যে প্রায় ৫১ বিঘা জমি ভূমিহীন পরিচয়দানকারি ভূমিদস্যুরা জাল কাগজবলে জবরদখল করে। পরবর্তীতে আরও জমি জবর দখল করে নেওয়ায়া কালে তাদের সাথে জমি মালিকদের সংঘর্ষের সূত্রপাত শুরু হয়। এর পর তারা একে একে ১১৬ বিঘা জমির অধিকাংশ জবর দখল প্রক্রিয়া সমপন্ন করে। তাদের দাবি উক্ত জমি দত্তনগর ফার্ম অধিগ্রহণ করেছিলো এবং প্রয়োজন না হওয়ায় তা পরবর্তীতে ফেরত দেওয়া হলে পরে তা খাস খতিয়ানভূক্ত হয়। এ অবস্থায় তারা উক্ত জমি সরকারের নিকট থেকে বন্দোবস্তগ্রহণ করে। কিন্তু এ জমির প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে উক্ত জমির মধ্যে দত্তনগর ফার্মের ৫১ বিঘা জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও পরে তা আর অধিগ্রহণ করা হয়নি। ফলে তাদের জমি তাদেরই থেকে যায়। এ অবস্থায় ভূমিহীন দাবিদার জবর দখলকারিরা ১১৬ বিঘা জমির মধ্যে ৫১ বিঘা জমির ভুয়া কাগজ তৈরী করে তা বন্দোবস্তগ্রহণ করলেও পরবর্তীতে লাঠির জোরে তারা ১১৬ বিঘা জমির অধিকাংশ গ্রাস করে। এ অবস্থায় উক্ত ৫১ বিঘা জমি ফেরত পেতে আদালতে একটি সানি মামলা দায়ের করা হয়। যা বিচারধীন রয়েছে। আব্দুল হাই টুটু দাবি করে বলেন, তাদের জমি খাস খতিয়ানভূক্ত হয়েছে এমন কোন রেকর্ড কিংবা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জবরদখল কারিরা তাদের জমির কাগজ জাল করে এ বন্দোবস্তগ্রহণ করেছে। এমতাবস্থায় তারা তাদের জমি ফিরে পেতে সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করেন। সাংবাদিক সন্মেলন কালে জমির অন্যান্য ওয়ারেশগণ উপস্থিত ছিলেন।