এম.পলাশ শরীফ,মোড়েলগঞ্জ থেকেঃ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে বোনকে লাঞ্চিত করার প্রতিশোধ হিসেবে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ২ ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ কর্মী মনির মৃধা(৩৫) ও আলম চাপরাশী (৪৫) এর লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পোষ্টমর্টেম শেষে শুক্রবার মাগবির বাদ জিউধরা গ্রামের সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ জোড়া লাশের জানাযায় হাজার হাজার লোক অংশ গ্রহন করে। জানাযা শেষে পৃথক পারিবারিব কবর স্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়। অপরদিকে হত্যা মিশনের প্রধান গনপিটুনিতে নিহত খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম(৪২)ও ফুলবাড়িগেট এলাকার ফোরকান শেখ(৩০) এর লাশের পোষ্টমর্টেমও একই দিনে সম্পন্ন হলেও তাদের লাশ কেউ গ্রহন না করায় আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বাগেরহাট পৌরসভার সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ জোড়া হত্যাকান্ড ও গনপিটুনিতে ২ সন্ত্রাসী নিহত হবার পর থেকে হত্যা মিশনের প্রধান গনপিটুনিতে নিহত রবিউলের বোন মরিয়ম বেগম ও তার স্বামী সিদ্দিক হাওলাদার স্ব-পরিবারে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেন গতকাল শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন এবং ভবিষ্যতে যে কোন প্রয়োজনে সহযোগীতার প্রশ্রিুতি দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট প্রবীর রঞ্জন হালদার, ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক রিপন, আজমীন নাহার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী খাঁনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জোহর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মনির মৃধা ও আলম চাপরাশী হত্যা ঘটনার সাথে জড়িত কিলিং মিশনের ৪ সদস্যকে এলাকাবাসি আটক করে। এর মধ্যে গন পিটুনি দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলায় রবিউল ও ফোরকানের ২জনের মৃত্যু ঘটেছে, আকবর আলী পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং জাহিদকে গতকাল শনিবার বাগেহাট কোর্টে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তথা হত্যা মামলার অপর ১০ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১৪ জন আসামীর কাউকেই পুলিশ গত দু’দিনে গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে থানা পুলিশের আদৌ কোন তৎপরতাও নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।##