লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি মরু শহরে গত ছয়দিনের সংঘর্ষে ১৪৭ জন নিহত ও প্রায় ৪০০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাতমা আল হামরুশ ত্রিপোলিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানিয়ে বলেছেন, সাবহা শহরের সংঘর্ষে গুরুতর আহত প্রায় ১৮০ ব্যক্তিকে চিকিতসার জন্য রাজধানীতে নিয়ে আসা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার একটি গাড়ির মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে একজন বন্দুকধারী নিহত হওয়ার পর সাবেক বিপ্লবী যোদ্ধা ও তুবু উপজাতির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশটির শাসনক্ষমতা পরিচালনাকরী অন্তর্বর্তী পরিষদ বা এনটিসির স্থানীয় কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সেইফ আন্ নাসের এ সংঘর্ষের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।
প্রবল গণ-আন্দোলন এবং সশস্ত্র বিপ্লবের জের ধরে গত বছর লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যূত ও নিহত হন। এরপর থেকে এনটিসি লিবিয়ার শাসনক্ষমতা পরিচালনা করছে। কিন্তু গাদ্দাফি বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামকারী হাজার হাজার যোদ্ধা এখনো তাদের অস্ত্র জমা দেননি এবং দেশের কোন কোন অঞ্চলে তারা স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছেন বলে এনটিসি অভিযোগ করছে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এনটিসিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বসবাসরত তুবু গোত্র মনে করছে,তেলসমৃদ্ধ দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহরগুলোতে বসবাসকারীরা তাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছে এবং তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতির লোকজন একচ্ছত্রভাবে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও মনে করছে এই গোত্র। এরই জের ধরে চলমান সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে লিবিয়ার অনেক অধিবাসী মনে করেন,তুবু গোত্রের লোকজন লিবিয়া হয়ে ইউরোপগামী অভিবাসীদের পাচারের কাজে সহযোগিতা করে ব্যাপক কালো টাকা সঞ্চয় করছে। তাদেরকে এ কাজে বাধা দেয়ার কারণে এ সংঘর্ষ শুরু হয়েছে