ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঝিকরগাছার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ভারতীয় চোরাই মোবাইল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন । সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী রাণী তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কেন মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি সে বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে। আটক সাইফুল ইসলাম ঝিকরগাছার কুন্দিপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে এবং নাভারণ পুরাতন বাজারে তার ইলেকট্রনিক্সের দোকান রয়েছে।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি জানান, বৈধভাবে ভারত যাওয়ার সময় তার পরিচয় হয় এক চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেট সদস্যের সঙ্গে। এরপর থেকে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা পাসপোর্ট যাত্রীদের মাধ্যমে চোরাই মোবাইল ফোন তার কাছে পৌঁছে দিত। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি এ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।এর আগে গত শুক্রবার রাতে নাভারণ বাজারে সাইফুলের দোকানে অভিযান চালায় শার্শা ও চৌগাছা থানা পুলিশ। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সাইফুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে বিষয়টি পুলিশ সুপারের নজরে এলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব নিজে সাইফুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন এবং সাইফুলকে আটক করেন। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, সাইফুল দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোনের ব্যবসা করছিলেন।