ফয়সাল খবির, জীবননগর প্রতিনিধিঃ
জীবননগরে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা নিয়ে দুইটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও সদস্য সচিব নিজেদের ইচ্ছায় কমিটি গঠন করছেন এমন অভিযোগ বিক্ষুব্ধ ছাত্র নেতাদের। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন দলকে বিতর্কিত করতে তারা এসব কর্মকান্ড করছেন।
উপজেলার ৮ ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি ইতিমধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে। মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় গঠিত কমিটি প্রচার হলে আহ্বায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা তা বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির ১৪ জন সদস্য ঘোষিত ইউনিয়ন কমিটিকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানান। ক্ষুদ্ধ ছাত্র নেতাদের মধ্যে ৮ জন যুগ্ন-আহবায়ক ও ৬ জন কার্যকরী সদস্য রয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন-আহবায়ক রুবেল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা ছাত্রদলের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক মামুন পারভেজকে অব্যহতি দিয়ে যুগ্ম-আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানকে (ভারপ্রাপ্ত) আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। ঐ কমিটির ৮ জন যুগ্ম-আহবায়ক ও ৬ জন সদস্যকে না জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ও সদস্য সচিব মকছেদুর রহমান রিমন নিজেদের ইচ্ছেমত ৮টি ইউনিয়নের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছেন।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) জিল্লুর রহমান বলেন, যারা কমিটি বাতিলের দাবি তুলেছেন তারা সংগঠনের ভালো চান না। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলীয় একটি সুত্র জানায়, জীবননগর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বঞ্চিত ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও বর্তমান ছাত্রদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান সিজারের মতাদর্শী। আর এই কারনে সংগঠনের ছাত্র নেতারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের জানান, দলের দুর্দিনে কেন কমিটি নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি হবে। আমাদের না জানিয়ে কী-ভাবে ইউনিয়ন কমিটি প্রকাশ করা হলো তা আমার জানা নেই। আমরা উভয় পক্ষকে এক টেবিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে নিরসনের চেষ্টা করা হবে।