ডেস্ক রিপোর্ট
টোকিও অলিম্পিকস-এ যোগদানকারী প্রতিযোগীদের শোবার জন্য কার্ডবোর্ডের তৈরি বিছানা দেয়ার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে বলে যে “রটনা” চলছিল তা আসলে সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন একজন অ্যাথলেট।
কিছু প্রতিযোগীর মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল যে তাদের শোবার জন্য কার্ডবোর্ডের তৈরি বিছানা দেয়ার আসল উদ্দেশ্য যাতে তারা ঘরে সঙ্গী আনতে না পারেন এবং বিছানায় যৌন সংসর্গ করতে না পারেন।
রিপোর্টে বলা হচ্ছিল কার্ডবোর্ডের বিছানাগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে একজনের বেশি মানুষের ভারে তা ভেঙে পড়বে।
বলা হচ্ছিল এর পেছনে মূল লক্ষ্য যাতে দুজন মানুষ বিছানায় ঘনিষ্ঠ হতে না পারেন, যার মধ্যে দিয়ে সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে প্রতিযোগীরা বাধ্য হবেন।
তবে বিছানা প্রস্তুতকারকরা কিন্তু বলছিলেন যে তাদের তৈরি এই বিছানা ২০০ কেজি পর্যন্ত ওজন নিতে পারবে। ২০১৬-র অলিম্পিকে কোন প্রতিযোগীর ওজন এর চেয়ে বেশি ছিল না।
টিম যুক্তরাষ্ট্রের পল শিলিমো সামাজিক মাধ্যমে মজা করে লেখেন, এই বিছানাগুলোর আসল বার্তা “অ্যাথলেটরা যেন পরস্পরের সাথে খুব বেশি ঘনিষ্ঠ না হন”।
তিনি সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয় নিয়ে মজা করে এই মন্তব্য করলেও দ্রুত গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে অলিম্পিক ভিলেজে “অ্যান্টি-সেক্স বেড” বা যৌন সংসর্গ বিরোধী বিছানা দেয়া হয়েছে।
এই রটনা এতটাই ছড়িয়ে যায় যে এবং এনিয়ে এমন হইচই শুরু হয় যে আয়ার্ল্যান্ড অলিম্পিক দলের ২১ বছর বয়সী অ্যাথলেট রিস ম্যাকক্লেনাঘান এই রটনা সত্যি কিনা তা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি তার নিজের বিছানার ওপর লাফান এবং তার ভিডিও ছবি তোলেন। তিনি বলেন “লাফালাফিতে তার বিছানা ভেঙে পড়েনি অর্থাৎ হঠাৎ অতিরিক্ত নড়াচড়ায় বিছানা ভাঙছে না”।
তিনি বলেন, বিছানাগুলো যৌন সংসর্গ ঠেকানো জন্য তৈরি হয়েছে “এ খবর ভুয়া”।
এই গুজব রটনাকে চ্যালেঞ্জ করে তা ভুয়া প্রমাণ করার জন্য অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে মি. ম্যাকক্লেনাঘানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।