সাফারি পার্কে দুদক অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ইজারাদারা দর্শনার্থীদের পার্কে প্রবেশ করার সময় অতিরিক্ত ফি নেওয়ার সত্যতা পেয়েছে অভিযানকারি দুদক দল। এ সময় আরো বেশ কিছু অসংগতি পেয়েছে বলে সত্যতা স্বীকার করেছে পাঁচ সদস্যের দুদক টিমের নেতৃত্বে থাকা দুদকের সহকারী রেজাউল করিম। পরে মুচলেকা দিয়ে সকল অপরাধ স্বীকার করে ইজারাদার।
বুধবার সকাল ১১টায় গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এ অভিযান চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে দুদকের পোশাক পরিহিত ৫ সদ্যস্যে একটি দল পার্কে প্রবেশ করে। পরে তারা বিভিন্ন রাইড ঘুরে দেখেন, দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় পার্কের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবশে দর্শনার্থীদের কাছ প্রবেশ ফি বেশি নেওয়ার প্রমান পেয়েছে। পরে কোর সাফারিতে গিয়েও প্রবেশ ফি বেশি নেওয়ার প্রমান পেয়েছে। এ সময় কোর সাফারি বেশ কিছু দর্শনার্থী প্রতিবাদ করলে দুদক দলের সাসনেই অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয় ইজারাদারের লোকজন। পরে মুচলেকা দিয়ে অপরাধ স্বীকার করে তারা। এ সময় সতর্ক করা হয় তাদের।
নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তা জানান, ইজারাদার রাজনৈতিক প্রভাবখাটিয়ে অনেক অনিয়ম করে যাচ্ছে। কোনো কিছু বললেই আমাদের ওপর চড়াও হয়। তিনি জানান, পার্কে প্রবেশে তিন শ্রেণির প্রবেশ ফি রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ফি ১০ টাকা, শিশুদের প্রবেশ ফি ২০ টাকা আর প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশ ফি ৫০ টাকা। প্রবেশের মূল্য তালিকা গোপন রেখে সবার প্রবেশেই ফি ৫০ টাকা নিচ্ছে ইজারাদাররা। এ দিকে কোর সাফারিতেও একই অবস্থা। এখানেও প্রবেশ ফি নেওয়াই নিয়ম মানা হচ্ছেনা।
দুদকের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান করে দুদক। পার্কে প্রবেশে ফি নেওয়াই সঠিক নিয়ম মানছেনা ইজারাদার। প্রবেশে ৩ প্রকার ফি রয়েছে। তারা সবার জন্যই একই ফি নিয়ে থাকে। এ সময় পার্কে প্রবেশ ফি নেওয়ায় অনিয়ম ও কোর সাফারিতে প্রবেশ ফি নেওয়াই অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে কোর সাফারিতে আসা সাত শিশু দর্শনার্থীর অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিয়েছে ইজারাদারের লোকজর। আর কোনো অনিয়ম না করার মুচলেকা দিয়েছে ইজারাদারের লোকজন। আমরা সর্তক করেছি। আরো তদন্ত করা হবে।