এম.পলাশ শরীফ,বাগেরহাট: খুলনার দৌলতপুর থেকে ফুসলিয়ে এক কিশোরীকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাগেরহাটে এনে একটি বাসা বাড়ীতে ২দিন আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে গনধর্ষন কালে মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে কিশোরীকে উদ্বারসহ ৩জনকে আটক করেছে। এব্যাপারে বাগেরহাট মডেল থানায় গ্রেফতারকৃত দের বিরুদ্বে নারী পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তোজাম্মেল হোসেন জানান,বাগেরহাট শহরের শালতলা রোডের আয়শা হোটেলের পরিচালক আয়শা দির্ঘদিন ধরে হোটেল ব্যবসার নামে মেয়েদের দিয়ে দেহব্যাবসা ও মাদকের বেচাকেনা করতো । সমপ্রতি পুলিশের অভিযানের কারনে আয়শার পুত্র বেল্লাল শহরের সোনাতলা এলাকায় শহিদুল ইসলামের বাড়ী ভাড়া নিয়ে সেখানে মেয়েদের দিয়ে দেহব্যবসা শুরু করে । গত রবিবার বেল্লাল খুলনা শহরের দৌলতপুর থানার উত্তরপাড়া এলাকা থেকে নাসরিন সুলতানা কবিতা নামে (১৬)একটি মেয়েকে ফুসলিয়ে সোনাতলার ঐ ভাড়া বাসায় এনে আটকিয়ে রেখে বেল্লাল অর্থের বিনিময়ে ওই কিশোরীকে শহরের একাধিক লোককে সাথে নিয়ে ধর্ষণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তোজাম্মেল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল রাতে সোনাতলায় শহিদের বাড়ী অভিযান চালিয়ে নাসরিন সুলতানা কবিতা কে উদ্বারসহ অসামাজিক অবস্থায় ৩জনকে আটক করে । আটককৃতরা হলো শহরের আয়শা হোটেলের পরিচালকের পুত্র মোঃ বেল্লাল হোসেন (২৪) খাদ্বার গ্রামের হাবি মল্লিকের পুত্র জাহিদ মল্লিক (৩০) গোবরদিয়া এলাকার রাজ্জাক মাঝির পুত্র ইকবাল মাঝি (৩২) আটক করে। এব্যাপারে এস,আই, জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান। মামলা নং ৩৮ । এদিকে শহরের একটি মহল বিষয়টি নিয়ে ধর্ষকদের পক্ষে থানা পুলিশের উপর প্রভাব বিসত্মার করছেন বলে পুলিশ সুত্রে জানাগেছে।