মেহেদী হাসান তুহিন, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধিঃ
দামুড়হুদায় ২ দিন ব্যাপী আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহাফিল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে গেছে। তাফসিরুল কোরআন মাহাফিল’র প্রধান বক্তা জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমীর স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড মামলার আসামী মাওঃ দেলোয়ার হোসাইন সাঈদি’র ভাতিজা অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সাঈদি হওয়ায় তাফসিরুল কোরআন মাহাফিল পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে।
এলাবাসী সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী সদাবরী গ্রামবাসী ২ দিন ব্যাপ আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহাফিল এলাকাবাসীকে অবগত করানোর জন্য গত ৩ দিন আগে (পূর্ব) থেকে উপজেলার প্রায় সকল এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছিল। মঙ্গলবার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মাইকে প্রচার করার সময় কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশ তা বন্ধ করে দেয়। তার পর থেকে মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে (২ দিন ব্যাপী) আয়োজিত এ মাহাফিলকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধায় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ সদাবরী গ্রামে গিয়ে মাহাফিল আয়োজনকারীদেরকে জানিয়ে দিয়ে আসে এখানে কোন মাহাফিল অনুষ্ঠিত হবেনা। মাহাফিলের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর পর যদি এখানো কোন সভ সমাবেশ করা হয় তাহলে সকলকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানায়।
এবিষয়ে মাহাফিল আয়োজন কমিটির সভাপতি হাফেজ আশাদুলাহ’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রশাসনের সকল নিয়ম কানুন মেনে তাদের অনুমতি নিয়ে গ্রাম বাসীর পক্ষ থেকে ২ দিন ব্যাপ তাফসিরুল কোরআন মাহাফিল’র আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়ার পরও তা বন্ধ করে দিল। এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া আফরিন ও দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) আজিজুল হকের সাথে কথা বললে তারা (তিনারা) জানান, অনুমতি নেওয়ার সময় তাদের আবেদনে প্রধান বক্তার নাম উলেখ ছিল না। পরবর্তিতে প্রচার কারার সময় প্রধান বক্তা হিসেবে স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড মামলার অন্যতম আসামী মাওঃ দেলোয়ার হোসেন সাঈদি’র ভাতিজা অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সাঈদি’র নাম ঘোষনা করায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। # #