মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (ইউ.এ.ই. প্রতিনিধি) :: আজ ২ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪১তম মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর মরহুম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে দেশটির ব্যাপক উন্নয়ন হয়। সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে দেশটির অবস্থান উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতা লাভের পর মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই উষর মরুভূমিকে রূপ দিয়েছেন সবুজের আঙ্গিনায় অট্টালিকায় সাজানো এক স্বপ্নের রাজ্যে। তার দূরদর্শী চিন্তা, উদার মানসিকতা ও সুপরিকল্পনায় মধ্যযুগীয় অবস্থা থেকে একেবারে উন্নত বিশ্বের জীবনধারায় নিয়ে এসেছেন আমিরাতবাসীদের জীবনযাপন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আরব আমিরাত এখন সৌন্দযের্র এক অপূর্ব লীলাভূমি। তিনি ছিলেন তার দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য এক মানবরূপী রহমতের ছায়া। সকল প্রবাসীর কাছে তিনি ছিলেন প্রিয়ভাজন এক ব্যক্তিত্ব। প্রবাসীদের প্রতি তার সহানুভূতির দৃষ্টি ছিল সব সময়। প্রজাদের ন্যায় প্রবাসীদের সব ধরনের সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের আওতায় ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিতেন তিনি। প্রবাসীদের সামান্যতম কষ্টেও তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবর্তন করতেন সংসদীয় সংবিধান। প্রবাসীদের ক্ষেত্রে সর্বদাই অকাতর সহায়তা যুগিয়েছেন। যেন তার দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসীদের সুবিধাও ছিল তার স্বপ্ন। এ জন্য যখনই শেখ জায়েদ প্রসঙ্গ আসে, তখন প্রবাসীদের চোখেও শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ভক্তির ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান দেশের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান এবং প্রেসিডেন্ট তার পিতা মরহুম শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের অনুসৃত নীতিমালার আলোকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আরো এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নেয়া হয়েছে ব্যাপক আয়োজন। প্রধান প্রধান সড়ক, সুউচ্চ বিল্ডিং ও স্কুল-কলেজ-মাদরাসাসহ বিশেষ বিশেষ স্থানগুলোতে জাতীয় পতাকা, বেলুন আর হরেকরকম বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে অপূর্ব সাজে। এ দিনটিকে ঘিরে রয়েছে বিমান মহড়া ও আরবদের সংস্কৃতি ঐতিহ্যের নানা রকম অনুষ্ঠানমালা। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিনদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।