কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ, জীবননগর প্রতিনিধি : ‘নদী বাঁচলে মানুষ বাঁচবে, মাথাভাঙ্গা-ভৈরব-চিত্রার উৎসমুখ খুলে দাও, পদ্মা-মাথাভাঙ্গার সাথে ভৈরব-চিত্রার সংযোগ চাই’ এই শ্লোগান নিয়ে রোববার চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটি এখানে বিক্ষোভ মিছিল, র্যালি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানকালে মাথাভাঙ্গার সাথে ভৈরবের সংযোগ বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি কপোতাক্ষ খননের। এর খনন পূর্বে কপোতাক্ষের পানি প্রবাহের উজানের উৎসমূখ চুয়াডাঙ্গার দর্শনার মাথাভাঙ্গা নদীর সাথে জীবননগরের ভৈরব নদ ও মহেশপুরের চিত্রা নদীর সাথে সংযোগ প্রদাণ করতে হবে।
নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতা কাজী বদরুদ্দোজা, শামসুল আলম, আয়েশা সুলতানা লাকি, শামীম ফেরদৌস, নিমাই চন্দ্র রায়, শফিকুল ইসলাম নান্নু প্রমূখ বক্তব্যদানকালে বলেন, বর্তমান সরকার কপোতাক্ষ খননের জন্য ২৬২ কোট টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ প্রকল্পে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় একটি টিআরএম ও পলি অপসারণের জন্য ড্রেজিং, ভেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট নির্মাণের কথা রয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে দু বার ক্রস বাঁধ দিয়ে কপোতাক্ষ খননের প্রচেষ্টা করা হয়; কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। গৃহিত প্রকল্পে কপোতাক্ষের পানি প্রবাহ সচল রাখতে উজানের মাথাভাঙ্গার সাথে ভৈরবের সংযোগ দেওয়ার কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বক্তরা বলেন, কপোতাক্ষ বাঁচাতে অবশ্যই উজানের পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন মাথাভাঙ্গা-ভৈরবের সংস্কার। আর সংস্কার না হলে কপোতাক্ষ-মাথাভাঙ্গা-ভৈরব কোন নদী বাঁচবে না, নদী না বাঁচলে এ পারের মানুষও বাঁচবে না।