এম. বেলাল হোসাইন, সাতক্ষীরাঃ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে কপোতাক্ষ ভৈরব ও চিত্রার উৎসমূখ খুলে দিয়ে নদী সংযোগের দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটি।
রোববার দুপুরে কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সমন্বয়ক এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহর নেতৃত্বে কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ স্মারক লিপি পেশ করেন।
স্মারক লিপিতে বলা হয়, কপোতাক্ষ নদ সংস্কারে সরকার ২৬২ কোটি টাকার যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে তা কপোতাক্ষ ভৈরব ও চিত্রার উৎসমুখ খুলে না দিলে কাজ হবে না। দর্শনার মাথাভাঙ্গা সাথে এসব নদীর সংযোগ স্থাপন করতে হবে। অন্যথায় এ প্রকল্প জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। ২৬২ কোটি টাকার ওই প্রকল্পে সাতক্ষীরার তালায় একটি টি আর এম এবং পলি অপসারনের জন্য ড্রেজিং ভেড়িবাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মানের কথা উল্লেখ আছে। এতে সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যা সমাধানে দরকার উজানের প্রবাহ।
স্মারক লিপিতে আরো বলা হয়, ভৈবর-কপোতাক্ষ হলো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মূল নদী কাঠামো আর মাথা ভাঙ্গা তার চাবিকাঠি। মাথা ভাঙ্গার সাথে ভৈরবের বন্ধ থাকা মুখ খুলে দিলেই শাখা নদ কপোতাক্ষ সহ দক্ষিণ পশ্চিম এলাকার সকল নদ নদী হারানো প্রবাহ ফিরে পাবে।
১৮৬১ সালে কলকাতা -কুষ্টিয়া রেল লাইন এবং ১৯৩৮ সালে দর্শনায় ভৈরব নদের বাঁক ভরাট করে কেরুর চিনিকল স্থাপনের ফলে উজানে পদ্ম-মাথা ভাঙ্গার সাথে ভৈরব-কপোতাক্ষের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর ১৯৬০ এর দশক থেকে পোল্ডার, স্লুইস গেট, বেড়িবাঁধ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে শাসন করতে করতে নদী ও খালের অপমৃত্যু ঘটানো হয়। যে কারণে প্রতিবছর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সৃষ্টি হচ্ছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।
এ জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে নদী ও খালের উন্মুক্তকরণের কোন বিকল্প নেই।
স্মারক লিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন এড. ফাহিমুল হক কিসলু, অজিত কুমার মন্ডল, স্বপন কুমার শীল, মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, এড. আল মাহমুদ পলাশসহ নেতৃবৃন্দ।