মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি চীন। বিশ্বে ক্ষমতার সমীকরণ বদলে দিতে এবার আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি। আর এই পরিকল্পনা সফল করতে রাশিয়াকে পাশে চাইছে বেইজিং। শুধু তাই নয়, পড়শি দেশগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে পারে দেশটি বলে দাবি করেছেন চীন-আমেরিকা সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ জনাথন ডি টি ওয়ার্ড।
সম্প্রতি, ‘ফক্স বিজনেস’-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জনাথন। সেখানে চীনের অভিসন্ধি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা মারিয়া বার্তিরমো। উত্তরে ‘অ্যাটলাস অর্গানাইজেশনে’র প্রধান বলেন, ‘যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনের কুটনীতিবিদের সঙ্গে চীনা প্রতিনিধিদের ফোনালাপেই স্পষ্ট যে বেইজিং দ্বিচারিতা করছে। তারা উভয়পক্ষকেই বোকা বানাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষা করতে ইউরোপের দেশগুলির কাছে নিজের স্বচ্ছ ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছে তারা (চীন)। কিন্তু, আসলে তারা মস্কোকেই সমর্থন দিচ্ছে।’ চীনের এই দ্বিচারিতার কারণ হিসেবে জনাথন জানান, দীর্ঘমেয়াদে চীনের কৌশল হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে জোট গড়ে তোলা। আমেরিকা ও এশিয়ার অন্য দেশগুলির সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে মস্কোকে পাশে চাইছে বেইজিং।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইউক্রেন রুশ হামলার প্রতিবাদ করেনি চীন। জাতিসংঘে মস্কোর বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে বেইজিং। শুধু তাই নয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চাপ কিছুটা লাঘব করতে পুতিন প্রশাসনকে বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মদত দিচ্ছে চীন বলেও খবর। মাস্টার কার্ড ও ভিসার মতো আর্থিক লেনদেন সংস্থাগুলো রাশিয়ার কাজ বন্ধ করার পর চীনা সিস্টেম ব্যবহার করছে দেশটি। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রাশিয়াকে সাহায্য করলে ফল ভুগতে হবে বলে চীনকে কয়েকদিন আগেই হুমকি দিয়েছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। সূত্র: টাইমস নাউ।