মহেশপুর (ঝিনাইদহ) থেকে মো ঃ আজাদ
মহেশপুরে মহান ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের স্মরনে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার ১৭১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই ।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ২৩৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭১ টিতে ভাষা শহীদদের স্মরণে নেই কোনো শহীদ মিনার। প্রতিবছর ভাষার মাস এলেই এ নিয়ে কথা হয়, আলাপ আলোচনা হয় কিন্তু কার্যকরি কোনো পদক্ষেপের অভাবে আর বাস্তবায়ন হয় না। ১৯৫২ সালেল ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস পালন করা হতো। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও পালন করা হয়। সরকারিভাবে প্রতিবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রুয়ারী পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা ২১ ফেব্রুয়ারি পালনেও অভ্যস্ত। এত কিছুর পরও উপজেলার ১ শত ৭১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে আজও নির্মিত হয়নি কোনো শহীদ মিনার। মাত্র ৬৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। এর মধ্যে আবার অনেক শহীদ মিনার অযন্ত,অবহেলা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহেশপুরে ১শ ৫২টির মধ্যে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মাত্র ২২ টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাধ্যমিক ও নি¤œ মাধ্যমিক স্কুল আছে ৮৩ টি। এর মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৪২ টিতে, ২৫ টি মাদ্রাসার কোনোটিতে শহীদ মিনার নেই, ১০টি কলেজের মধ্যে মহেশপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ বাদে ৯ টিতে শহীদ মিনার আছে। সব মিলিয়ে ২৩৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৬৪ টিতে শহীদ মিনার অছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য উপর থেকে নির্দেশনা আসছে পরিষদে এটা ওঠানো হয়েছে। পরিষদ থেকে এটা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে আমরা জোরালো কোন পদক্ষেপ পাই নাই। সে কারনে আমরা কোন সিদ্ধান্তে পৌছাইতে পারিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হাসান বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকারী নর্দেশনা আছে কিন্তু বরাদ্দ নেই তবে আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সহযোগীতায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য উদ্দ্যোগ নিয়েছি।