স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ফেনী গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) তদের বরখাস্ত করা হয়।
আগে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশের এসব কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা করেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন, ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন, মিজানুর রহমান, নুরুল হক এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিত বড়ুয়া ও মাসুদ রানা।
ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস সাংবাদিকদের বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করার পর স্বর্ণের বারগুলো ছিনিয়ে নিয়ে রাত ৮টার দিকে ছেড়ে দেন ডিবির অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তারা। এই ব্যবসায়ীর দাবি, তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ২০টি স্বর্ণের বারের বাজারমূল্য আনুমানিক এক কোটি ২৪ লাখ টাকা।
পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে ফেনীতে স্বর্ণব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাশের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মঙ্গলবার ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম ভুইয়াসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে অভিযোগটি দিনভর তদন্ত শেষে তাদের গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করে ফেনী জেলা পুলিশ।
ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস। ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশের ওই সদস্যরা তার গাড়ি থামান। এ সময় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেন তারা। এ ঘটনায় গোপাল কান্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে চার জনকে শনাক্ত করে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে অন্য দুজনকে আটক করা হয়। ব্যবসায়ীর করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি পাঁচটি স্বর্ণের বার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। স্বর্ণের বারগুলো বৈধ নাকি অবৈধ তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ডিবি পুলিশের ওই ছয় কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।