ডেস্ক রিপোর্ট :
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার আয়োজনে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ রবিবার সাভারের বিসিডিএম মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় স্কুল মিল প্রোগ্রামের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত উপায়ে রান্না বিষয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচকরা এই বিষয়ে আলোকপাত করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহযোগে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণ প্রদান করছে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী সেশনে বারটান-এর নির্বাহী পরিচালক ঝরনা বেগম (অতিরিক্ত সচিব) এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্প-এর পরিচালক মো. রুহুল আমিন খান (যুগ্মসচিব), জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রতিষ্ঠান-এর ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিস-এর লাইন ডিরেক্টর ড. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধি স্নেহ লতা প্রকল্প পরিচালক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সরকার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এখন যারা প্রাথমিকের শিক্ষার্থী তারাই সেই উন্নত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই আমাদের আজকের এই কর্মসূচীর লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্মাণ।
বারটান-এর নির্বাহী পরিচালক ঝরনা বেগম বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। এই প্রশিক্ষণ যারা গ্রহণ করবেন তারা এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান স্কুল পর্যায়ে।গত ১৯ আগস্ট দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে এক বেলা খাবার কুকরা পুষ্টিমান অক্ষুণ্ন রেখে নিরাপদভাবে রান্না করতে পারেন। এটি নিশ্চিতকরণে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এর প্রতিনিধি হ লতা বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে বিদ্যালয়গামী শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণে অন্তত এক তৃতীয়াংশ খাবার তার স্কুল চলাকালীন গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর স্কুল মিল প্রদান করা হলে শিশুদের স্কুলে উপস্থিতি বাড়ে, ঝরে পড়ার হার কমে যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট, ২০১৯ তারিখে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে এক বেলা খাবার দেয়ার ব্যবস্থা রেখে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ২০১৩ সাল থেকে স্কুল মিল কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে। চলমান দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্প-এর আওতায় ১৬টি উপজেলায় ২১৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে সরকার। সেখানে রান্নার দায়িত্বে থাকা কুকদের (বাবুর্চি) নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত উপায়ে রান্না বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এই রান্নার কাজে নিয়োজিত কুকদের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় প্রশিক্ষণ দেবে বারটান।