মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
সীমান্ত এলাকা থেকে ফেন্সিডিল ও ইয়াবা টেবলেট বহন করে নিয়ে ঢাকাগামী পরিবহনে তুলে দিতে রাজি না হওয়ায় সুজন হোসেন (২২) নামের এক যুবককে দা দিয়ে কুপিয়ে যখম করা হয়েছে। এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় সুজন হোসেনকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করা হয়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার গভীর রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত বর্তী শ্যামকুড় ইউনিয়নের নিমদাপাড়ায়।
এলাকাবাসী জানান, শ্যামকুড় ইউনিয়নের নিমদাপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে সুজন হোসেনকে একই গ্রামের হারুনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও জয়নাল ময়রার ছেলে সুলতান হোসেন মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে ফেন্সিডিল ও ইয়াবা টেবলেট বহন করে নিয়ে ঢাকাগামী পরিবহনে তুলে দেওয়া কথা বলে এতে সে রাজি না হওয়ার কারনে তারা ইউনুচের বাগানের মধ্যে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়।
আহত সুজন হোসেন জানান, আমাকে বুধবার রাত ১০টার দিকে নিমদা পাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও সুলতান হোসেন ফোন করে ইউনুচের বাগানের মধ্যে ডেকে আনে। সেখানে তারা আমাকে বলে তোকে আমরা ৩ হাজার টাকা দেবো। বিনিময়ে আমাদের ১ হাজার পিচ ফেন্সিডিল ও কিছু ইয়াবা বড়ি ঢাকার একটি পরিবহনের সুপার ভাইজার আলী আজমের কাছে পৌছে দিতে হবে। এতে আমি রাজি না হওয়ার কারনে তারা আমাকে বাগানের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান আমানউল্লা হক জানান, আমি ঘটনাটি লোক মুখে শুনেছি। তবে এখনও পর্যন্ত আমার কাছে কোন পক্ষই আসেনি।
এ ঘটনায় আহত সুজনের বাবা আবুল কাশেম বাদি হয়ে সাইফুল ইসলাম,সুলতান হোসেনসহ ৫ জনকে আসামী করে মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্যঃ এক বছর পুর্বে নিমদা পাড়ার বাগানে অনন্তপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী ওয়াসীমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।