মহেশপুর(ঝিনাইদহ)উপজেলা সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর সোনালী ব্যাংকের ভিতর এক প্রবাসী পিতার একাউন্টের ৯৪হাজার টাকা তুলে নিল অজ্ঞাত এক প্রতারক।সিসি ক্যামেরায় তার স্পষ্ট ছবি ধারন করা থাকলেও এখন পর্যন্ত পরিচয় জানা যায়নি। এ ব্যপারে থানায় জিডি দায়ের হয়েছে।
প্রতারনার স্বীকার মহেশপুর থানার ঘুগরী গ্রামের আব্দুল মালেক স্থানীয় সাংবাদিক কল্যান সংস্থার কার্যালয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান, বুধবার দেড়টার সময় ব্যাংকে গিয়ে তার এলাকার ব্যাংকার আব্দুল আজিজের টেবিলে গিয়ে চেকের টাকা তুলে দিতে বলি। তিনি চেকে একটি স্বাক্ষর নিয় আরেকজনকে দেখিয়ে দেন। এ সময় আািম অপর কর্মকর্তার কাছে যাবার পথে অন্য একজন এসে চেকটি নিয়ে ম্যানেজারের টেবিলে দেন । লেখাপড়া না জানায় আমি ব্যাংকের কর্মকর্তা ভেবে প্রতারকের কাছে চেকটি দেয় এবং সেই ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে থাকি।
ব্যাংক ম্যানেজার চেকের উপর স্বাক্ষর করে আমার উপস্থিতিতে প্রতারক ব্যক্তিটির হাতে চেক টি ফেরত দেন । প্রতারক ওই ব্যাক্তি চেকটি ক্যাশে জমাদেন এবং আমাকে দুই ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলেন। আমি তার কথা মত অপেক্ষা করতে থাকি আর লোকটি ব্যাংকের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। এভাবে আধাঘন্টা অপেক্ষার পর লোকটি সামনে থেকে হারিয়ে যায়। খোজ নিয়ে তিনি জানতে পারি ওই লোকটি তার চেকের ৯৪ হাজার ৮৪ টাক তুলে নিয়ে পালিয়েছে।
এর পর তিনি এ বিষয়ে থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।টাকা হারিয়ে গরীব কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তিনি দুঃখ করে বলেন, এই টাকা না পেলে তিনি ছেলেকে কি জবাব দেবেন। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এ.এস.আই সিরাজুল ইসলাম জানান, থানায় জিডি হয়েছে। ব্যাংকে থাকা সিসিটিভি’র ছবি দেখে প্রতারক সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্যআব্দুল মালেক ব্রাক ব্যাংকের লোন নিয়ে ৮ মাস পূর্বে ছেলে জাহিদুল ইসলামকে মালোয়েশিয়া পাঠিয়েছেন।ছেলের পাঠানো টাকা তুলতে এসে তিনি প্রতারিত হয়েছেন।্