এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলায় মোবাইল ফোনে পরকীয়ার জের ধরে ঘুমান্ত স্বামীকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে নববধূ কুমকুমি আক্তার(২৫) ঘটনাটি ঘটেছে ২২ মার্চ (শুক্রবার) গভীর রাতে উপজেলার দক্ষিণ বাধাল গ্রামের বাসিন্দা নজির আহম্মেদ মৃধার বাড়িতে ।
ঘটনার পর ২৩ মার্চ (শনিবার) ভোরে আহত রুমন মৃধা (২৮) কে গুরতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে একইদিন ভোরে শরণখোলা থানা পুলিশ অভিযুক্ত নববধূ কুমকুমি আকতার শিমু (২৫) কে আটক করেছে ।
পুলিশ ও আহতের পরিবার সূত্র জানায়, দক্ষিণ বাধাল গ্রামের বাসিন্দা নজির আহম্মেদ মৃধার ছেলে রুমন মৃধার সাথে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কোটা গ্রামের বাসিন্দা মৃত, হারুন শেখের মেয়ে কুমকুমি আকতার শিমুর সাথে গত আট মাস পূর্বে ভালবেসে বিবাহ হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর মোবাইল ফোনে এক মেয়ের সাথে গভীর পরকীয়ায় মেতে ওঠে রুমন ।
বিষয়টি শিমুর নজরে আসলে বহুবার তার স্বামীকে বাঁধা দেন। এক পর্যায় এনিয়ে উভয়য়ের মধ্যে অনেকদিন ঝগড়াঝাটি ও মারপিটের ঘটনাও ঘটে। শুক্রবার রাতে রুমন গোপনে মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে তার স্ত্রী শিমুর হাতেনাতে ধরা পড়ে । এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় শিমুকে বেধাড়ক মারপিট করে রুমন। পরবর্তীতে তারা ঘুমিয়ে পড়লে রাত অনুমান গবীর রাতে ধারালো দাও দিয়ে হত্যার উদ্যেশ্যে ঘুমন্ত স্বামীর গলায় আঘাত করেন শিমু। এতে রুমনের গলার স্বাস নালীতে আঘাত লেগে অনেকটা কেটে যায় এবং ব্যাপক রক্ষক্ষরণ শুরু হয় । ওই সময় তার ডাক চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে শিমু পালিয়ে যায়। পরে রুমনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু ও স্থানীয়দের সহয়তায় শিমুকে উপজেলার পল্লীমঙ্গল এলাকা থেকে আটক করে শরণখোলা থানা পুলিশ ।
শিমু সংবাদকর্মীদের বলেন, পিত্রালয়ের সাথে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করে যাকে ভালবেসে ছিলেন, সেই মানুষটির খারাপ চরিত্র ও নির্যাতন সহ্য করতে না পারায় তিনি এমন ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন ।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার জানান, ওই গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে এবং বিষয়টির তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । #