পরনে জিন্স প্যান্ট ও টপস। চুল পরিপাটি খোঁপা করে বাঁধা। বিমানবন্দরে অনেকেই তাকে চিনতেও পারলেন কলকাতা এবং মুম্বাইয়ের মাঝারি মাপের মডেল হিসাবে।
সিকিউরিটি চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট পর্দায় ঢাকা ঘরে মহিলা সিআইএসএফ কর্মী দেহ তল্লাশি করে প্রায় ছেড়েও দিচ্ছিলেন ওই তরুণীকে। কি
ন্তু হঠাৎই তার চোখ পড়ল মডেলের চুলের খোঁপাতে। অনুরোধ করলেন খোঁপা খুলতে। প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না ওই মডেল। শেষ পর্যন্ত সিআইএসএফ কর্মীর চাপে খোঁপা খুলতেই বেরিয়ে এল প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া এক মুঠো রঙিন ট্যাবলেট। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করা হয়। সিআইএসএফ কর্মীদের সন্দেহ হয় ওই ট্যাবলেট কোনও নিষিদ্ধ মাদক। পরে বিশেষজ্ঞরা ওই ট্যাবলেট পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন নিষিদ্ধ মাদক এমডিএমএ বলে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটে আদি বাড়ি ওই মডেল গত পাঁচ বছর ধরে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। মুম্বাইয়ে মডেলিংয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি তেলুগু ছবিতে নায়িকার ভূমিকাতেও অভিনয় করেছেন। কলকাতার টলিউডেও তিনি বেশ পরিচিত মুখ। ২০০৯ সাল থেকে একাধিক বাংলা ছবিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
সিআইএসএফ সূত্রে জানা গেছে, তিনি মধ্য কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলের ডিস্কোথেক-এ একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন। সেখানে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মাদক নিচ্ছিলেন। ওই ডিস্কোথেক থেকেই এমডিএমএ সংগ্রহ করেন ওই মডেল।
তদন্তকারীদের কাছে ওই মডেল দাবি করেছেন, তিনি প্রথমবার এমডিএমএ নিয়েছেন। পাচার করার উদ্দেশ্যে নয়, নিজেই ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সিআইএসএফ সূত্রে খবর, ওই অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, ওই দিনের পার্টিতে কলকাতা এবং মুম্বাইয়ের মডেলিং এবং ফ্যাশন জগতের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
তদন্তকারীরা নিশ্চিত নন, তিনি নিজের ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন না মাদক পাচার চক্র তাকে কাজে লাগাচ্ছিল ‘বাহক’ হিসাবে।