আল আমিন মন্ডল (বগুড়া) ঃ গতকাল সোমবার বগুড়ার গাবতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিন নৌকা প্রতিকে ১লাখ ৫৫হাজার ২’শ ৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী একিউএম ডিসেন্ট আহম্মেদ সুমন আনারস প্রতিকে ২হাজার ৬’শ ৭৪ভোট পেয়েছেন। অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার এহসানুল বাশার জুয়েল মোটরসাইকেল প্রতিকে ১হাজার ৭১ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুক্তা মাইক প্রতিকে ১লাখ ৩৮হাজার ৮’শ ১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমীনূন্নবী (চশমা) ৭হাজার ৯’শ ২৩ভোট পেয়েছেন। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রেকসেনা আকতার কলস প্রতিকে ১লাখ ২৫হাজার ৭’শ ৭৮ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সহমিনা আকতার বানু রুমা ফুটবল প্রতিকে ১৬হাজার ৮’শ ৫৫ভোট পেয়েছেন। এছাড়া সুরাইয়া জেরিন রনি সেলাই মেশিন প্রতিকে ১৩হাজার ১’শ ৭৪ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোকাফফর হোসেন টিয়া পাখি প্রতিকে ৪হাজার ২’শ ৮৬ ভোট, আরিফুর রহমান বাবলু উড়জাহাজ প্রতিকে ২হাজার ৬’শ ২ভোট এবং আবু হাসনাত সরকার শিমুল তালা প্রতিকে ২হাজার ১’শ ৫৪ভোট পেয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী একিউএম ডিসেন্ট আহম্মেদ সুমন (আনারস) বেলা ১১টার পর নানা অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন করা হয়। ৯৫ কেন্দ্রে ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ৬’শ ৩৬। ৯৫জন প্রিজাইডিং অফিসার থাকলেও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৬’শ ৩৬জন এবং পুলিং অফিসার ১হাজার ২’শ ৭২জন দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট এবং বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ কয়েক স্তরের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে থানার ওসি সেলিম হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান সকলের সহযোগিতায় অত্যান্ত শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে।