এশিয়ার বৃহত্তম বার খ্যাত ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০ মেয়াদে নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ-সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৭টি পদের মোট ১৮টিতেই জয়ী হয়েছেন সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। অপরদিকে সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ ৯টি পদে জয় পেয়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক নীল প্যানেল।
নির্বাচনে দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর শুক্রবার বিকেল থেকে গণনা শুরু হয়। এরপর শুক্রবার রাতে নির্বাচনের এই ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বাদল।
ফলাফলে মোট ১২টি সম্পাদকীয় পদের ৯টিতে এবং ১৫টি সদস্য পদের ৯টিতে বিজয়ী হয় সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। এই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে গাজী শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচি, সহ-সভাপতি পদে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ ওমর ফারুক আসিফ, দফতর সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম কাদির, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হুমায়ুন খন্দকার টগর ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. উজ্জ্বল মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির ১৫টি সদস্য পদের ৯টিতে জয় পায় সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। এই প্যানেলের সদস্য পদে বিজয়ী আইনজীবীরা হলেন- আয়েশা বিনতে আলী, তুষার ঘোষ, হায়াত আল মাহমুদ, কাওছার হাসান, ইব্রাহিম হোসেন, জুয়েল শিকদার, সোহরাব হোসেন, তানভীর আহমেদ সজীব ও মাসুম মিয়া।
অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক নীল প্যানেল ৩ সম্পাদকীয় ও ৬টি সদস্য পদে জয়লাভ করে। নীল প্যানেল থেকে সম্পাদকীয় পদে বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান, গ্রন্থাগার সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোরশেদা খাতুন শিল্পী।
নীল প্যানেলের বিজয়ী সদস্যরা হলেন- ইব্রাহিম খলিল, শাহীন সুলতানা, কাজী রাওশান দিল আফরোজ, ফারহানা আক্তার লুবনা, মেহেদী হাসান ও ইকবাল মাহমুদ সরকার।
ঢাকা আইনজীবী সমিতি এশিয়ার বৃহত্তম আইনজীবী সমিতি হিসেবে পরিচিত। এই সমিতির সদস্যসংখ্যা ২৪ হাজার ৬৮৪। এবার ভোটার ছিল ১৭ হাজার ৮৯৭ জন । তার মধ্যে ৯ হাজার ৩৬৪ জন ভোট দিয়েছেন। এবার মোট ২৭ পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হয়। পরে বৈরী আবহাওয়া ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি থাকায় দ্বিতীয় দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন। গত মঙ্গলবার কমিশন এক সভায় বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ও শেষ দিনের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী ৭ মার্চ হয় দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ। পরে ৮ মার্চ গণনা শেষে এই ফল ঘোষণা করা হয়।