সৈয়দ আশরাফের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান নওফেল, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা এবং বিএনপি ও অন্যান্য দলের নেতাদের সৈয়দ আশরাফের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
জানাজার আগে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদের খতিব মাওলানা আনোয়ার শাহ বলেন, আজ সৈয়দ আশরাফের জানাজায় লাখো মানুষের ঢল দেখা বোঝা যায়, তিনি কতটা ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি অনেক ক্ষমতাধর লোক ছিলেন। অনেক টাকা–পয়সা, গাড়ি–বাড়ি করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। শূন্য হাতে বিদায় নিয়েছেন। তাঁর সততায় তাঁর সম্মান আজ এত ওপরে উঠেছে। তাঁর কাছ থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।
সুনামগঞ্জ জেলা থেকে আসা নাঈমুল ইসলাম বলেন, ‘এত মানুষের ভিড় ঠেলে কফিনে রাখা সৈয়দ আশরাফের মরদেহের কাছে যেতে পারিনি। কিন্তু আমার জীবনে দেখা ক্ষমতাধর এই সৎ, স্বচ্ছ, নিরহংকার ও নির্লোভ প্রিয় লোকটির জানাজায় অংশ নিতে পেরে শান্তি পাচ্ছি।’
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে প্রশাসনসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আজ সকালের মধ্যে জানাজার সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়। তৈরি করা হয় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ রাখার মঞ্চ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফ ১৯৯৬ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে টানা পাঁচবার নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন।
গত বছরের জুলাই মাসে ফুসফুসে ক্যানসারের কারণে তাঁকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি বিজয়ী হন। কিন্তু সাংসদ হিসেবে শপথের আগেই গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মারা যান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।