‘নামাজ যেমন ফরজ, তেমনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া ফরজ’, বিতর্কিত এই মন্তব্য করেছেন এক মাদ্রাসাশিক্ষক। এ বক্তব্য দেওয়ায় পর বিভ্রান্ত ছড়ানোর অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওই শিক্ষক হলেন হাবিবুল হক খন্দকার। তিনি ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কোবাদ আলীর ছেলে। ভিতরবন্দ ফাজিল বিএ মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শাখার আরবি শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ইউনিয়ন বিবাহ রেজিস্টার (কাজী) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত। এছাড়াও তিনি নিষিদ্ধ দল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর।
জানা যায়, উপজেলার ভিতরবন্ধ বাজারে ১৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম-১ আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাইফুর রহমান রানার নির্বাচনী পথসভায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন ওই ব্যক্তি। একই সঙ্গে নামাজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
বক্তব্যে ওই মাদ্রাসাশিক্ষক বলেন, ‘বিনা কারণে এ সরকার সাঈদীকে জেলখানায় বন্দী করে রেখেছে। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে এ সরকারকে উৎখাত করে ওনাকে মুক্ত করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই সাঈদী নবীজিকে ১০ বার স্বপ্নে দেখা করেছেন। তার হাতে প্রায় ১০ হাজার লোক মুসলমান হয়েছেন। তাই নামাজ যেমন ফরজ, এই ধরণের আলেমদের মুক্ত করতে ২০ দলীয় জোট ঐক্যজোটের (ঐক্যফ্রন্ট) পক্ষে ভোট দেওয়া ফরজ হয়ে পড়েছে।’
তার এ উস্কানিমূলক ও বিতর্কিত বক্তব্য ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। পরে বৃহস্পতিবার তাকে ভিতরবন্দ ইউনিয়ন কাজী অফিস থেকে আটক করে নিয়ে আসে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ। সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শঙ্কর কুমার বিশ্বাসের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়।
সেখানে উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) আল ইমরানের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ এর বিধিমালা অনুযায়ী ১১ ধারায় তাকে ৬ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরো ৩ মাসের জেল দেওয়া হয়।