প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মানুষে মানুষে বিভক্তীর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু করে বিভক্তীর মাধ্যমে মানুষের উপর নির্যাতন, নিপিড়ন ও জুলুম করা সা¤্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের এক কৌশল। এই ভেদাভেদ সৃষ্টি বন্ধ করলে মানুষ তার মৌলিক ও মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমরা সকল রাজনৈতিক দলে নির্বাচনী ইশতেহারে উর্দুভাষীসহ সকল সংখ্যলঘুদের অধিকার নিশ্চিত করার দাবী উল্লেখ করার লক্ষ্যে আজ ১৫/১২/২০১৮ ইং সকাল ১১ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে মানববন্ধন কর্মসূচীর বাস্তবায়ন করেছি। আজকের এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভুদ উর্দুভাষী সংখ্যালঘু কাউন্সিল বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট মোঃ শামীম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন গাজী মোস্তাফিজুর রহমান (বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার সংগঠক, সাংবাদিক ও সমাজ সেবক), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকশালের মহাসচিব এইচ এম জাহিদ হোসেন মন্টু, সম্মিলিত গণতান্ত্রিক দল-ইউডিপি এর কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ হারুনুর রশিদ। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সেক্রেটারী জেনারেল আফজাল ওয়ার্সী, ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম রসুল, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হোসনে আরা ডলি, শিক্ষা বিষয়াক সচিব জহুর মাষ্টার, দপ্তর সচিব মােঃ মিন্টু ওয়ার্সী, প্রচার সম্পাদক মোঃ আজাদ, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ শমসের, সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ। বক্তারা বলেন আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত না হলে মানবাধিকার নিশ্চিত হয় না। তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তাদের সহায় সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে তাদেরকে ক্যাম্পে বসবাস করতে বাধ্য করে। পুনরায় তাদের বসবাসের কোন ব্যবস্থা না করেই উর্দুভাষীদের বসবাসকৃত সেই ক্যাম্পের জায়গা অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা বাতিল করে উর্দুভাষীদের নামেই বরাদ্দ দিতে হবে। উর্দুভাষী ছেলে-মেয়েদের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারী চাকুরীর ব্যবস্থা করতে হবে। বিনা পয়সায় শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের আসন সংরক্ষিত করতে হবে। কারণ উর্দুভাষীসহ সকল সংখ্যালঘুদের জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারে আসন সংরক্ষিত না থাকায় সংঘ্যালঘুরা তাদের অধিকার সম্পৃক্ত বিষয়ে কথা বলার সুযোগ না পাওয়ায় তাদের মৌলিক ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না। পূর্নবাসন সহ সংখ্যালঘুদের সকল সম্পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। উর্দুভাষী বেনারশী পল্লীর জায়গা হস্তান্তর করতে হবে। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাক্তি স্বার্থে যে কোন নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তারা বলেন সংখ্যালঘু নয়, অধিকার বঞ্চিতদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তারা আরাে বলেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারীদের স্বপ্ন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিতে হবে। গনমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার মানুষিকতা পরিহার করারও আহ্বান জানান। সবশেষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।