জীবননগর ব্যুরো: রোগী দেখে ফিস নেয়ার পর ইনজেকশন দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনা হয়েছে। ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ডা. মনিরুল ইসলাম রোগী নেহারুন বেগমের নিকট থেকে ১৫০ টাকা মূল্যের ইনজেকশন পুশ করে ২ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। ডা. মনিরুল ইসলাম জীবননগর হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ।
মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার আনন্দবাস গ্রামের মৃত গোলাম রসুলের ছেলে আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তারা দরিদ্র। তার মা নেহারুন বেগম (৫০) গত প্রায় দেড় বছর পূর্বে পড়ে গিয়ে বুকে ব্যথা পান। তারপর থেকে গত প্রায় এক বছর ধরে জীবননগর ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত এমবিবিএস, বিসিএস, এমএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক ডা. মনিরুল ইসলামের নিকট থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসছেন। প্রতি শুক্রবার তিনি ঢাকা থেকে জীবননগরে এসে ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখে থাকেন। সাক্ষাৎ ফিস নেন ৫শ টাকা। গত তিন সপ্তাহ ধরে তার নিকট থাকা একটি ইনজেকশন দিচ্ছেন তিনি নেহারুন বেগমকে। ১৫০ টাকা মূল্যমানের এ ইনজেকশন দিয়ে তিনি রোগীর নিকট থেকে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তিনি জানান, চিকিৎসকের নিকট আমি আমার দরিদ্রতার কথা তুলে ধরে কিছু টাকা কম নিতে বলি। কিন্তু তিনি কম নিতে অস্বীকার করেন। আমি এ ইনজেকশন বাইরে থেকে এনে দিতে চাইলে তিনি তাতেও রাজি হননি। ইনজেকশনের শ্যামপল নিয়ে ফার্মেসীতে গিয়ে জেনেছি ওই ইনজেকশনটির বাজার মূল্য ১৫০ টাকা।
এ ব্যাপারে ডা. মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিন জানান, ইনজেকশনটির মূল্য ৩৫০ টাকা হলেও পুশক করতে ২ হাজার টাকা নিয়ে থাকি। কারণ ইনজেকশনটি পুশকরা অনেক কিটিক্যাল, সবাই এটি দিতে পারেনা। আমিতো কম নিয়ে থাকি। তিনি বলেন, এটি যদি ঢাকার কোনো হাসপাতাল থেকে পুশ করা হয় তাহলে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়।