মহেশপুর প্রতিনিধি ঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার এক কলেজ ছাত্রী দীর্ঘ দেড় বছর ধরে চলা সর্ম্পকের পর বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ীতে ৫ দিন অবস্থান করছেন । বাড়ীতে প্রেমিকার অবস্থানের খবর পেয়ে প্রেমিক সাজন (২১) গা ঢাকা দিয়েছে।
সাজন জলুলী স্কুল পাড়ার আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালুর ছেলে ও ইসমোতারা একই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের মেয়ে।
প্রেমিকা ইসমোতারা জানান,র্দীঘ দেড় বছর ধরে জলুলী গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে সাজনের সাথে তার সর্ম্পক। সাজন বিভিন্ন সময় বিয়ের কথা বলে শারীরিক সর্ম্পক করে আসছে। বিয়ের কথা বললেই বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করে আসছে।
ইসমোতারা আরো জানান, গত বুধবার দুপুরে যাদবপুর কলেজ থেকে আসার সময় সাজন আমাকে তার এক আতœীয় বাড়ী মকরধ্বজপুর গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে এলাকার লোকজন বিষয়টি জেনে গেলে সাজন আমাকে ফেলে পালিয়ে আসে। পরে রাতে আমি বাড়ীতে গেলে আমাকে বাড়ীতে উঠতে দেয়নি আমার পরিবারের সদস্যরা । তাই আমি বুধবার রাত ২টার পর থেকে সাজনের বাড়ীতে চলে এসেছি।
মেয়েটি আরো বলেন গত তিনদিন ধরে সাজনের পরিবারের লোকজন বিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে আমাকে নিয়ে বেড়াচ্ছে।
যাদবপুর ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে জানান বিয়ে দেওয়ার জন্য কাজী অফিসে গেলে ছেলের বয়স ৪মাস কম হওয়ায় কাজী সাহেব বিয়ে পড়াতে রাজী হননি। তবে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
সাজনের পিতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালু জানান, .দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজ অথবা কাল বিয়ে হবে।