ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুঠিদুর্গাপুর গ্রামে বিয়ের দাবীতে তিনদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে মুক্তি রানী নামে এক কলেজ ছাত্রী। এ নিয়ে প্রেমিক ইমরান হোসেনের পরিবার পড়েছে বিপাকে। লোক লজ্জার ভয়ে প্রেমিক ইমরান ও তার বাবা আব্দুল মান্নান বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেতাই পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ঝিনাইদহ সদরের সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলালের নির্দেশে বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমি দুই দিন ধরে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। তিনি আরো জানান, প্রেমিকা মুক্তি রানীর সাফ কথা তাকে বিয়ে না করলে সে ওই বাড়ি থেকে সরবে না। এদিকে প্রেমিক ইমরান ও তার বাবা আব্দুল মান্নানও বিষয়টি মেনে নিয়ে চাচ্ছে না। তারাও বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। মুক্তি রানীর বাবা সরজিত কুমার বৃহস্পতিবার তার মেয়েকে জোর করে বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু বাড়িতে আটকে রাখতে পারেনি। মুক্তি রানী দাবী করছে প্রেমিক ইমরান হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে তারা স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করেছেন। এলাকার ইউপি মেম্বর কলিম উদ্দীন জানান, সদর উপজেলার ডেফলবাড়ি গ্রামের সরজিত কুমারের অনার্স পড়ুয়া মেয়ে মুক্তির সাথে ইমরান দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে আসছে। প্রেমের সুবাদে গত ৩ বছর ধরে ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই সড়কে জনৈক মুরাদের বাড়িতে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়াও থেকেছে। এখন ইমরান স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে। তিনি আরো জানান, গত বুধবার থেকে মুক্তি রানী ইমরানদের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করছে। এলাকার শত শত মানুষ এ ঘটনা দেখতে কুঠিদুর্গাপুর গ্রামে ভিড় জমাচ্ছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে ইমরান হোসেন একজন প্রতারক। সে একটি কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে তিন বছর ধরে স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করেছে। এখন বিয়ে করতে টালবাহানা করছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদরের সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এলাকার পুলিশ ফাঁড়ি ও জনপ্রতিনিধিদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।