বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস আলহাজ্বশহিদুল ইসলাম মাষ্টার বৃহস্পতিবার বিকালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে—–রাজেউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী এবং শুভান্যুধায়ী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন। গত বছর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।
বিএনপির এই নেতার বড় ছেলে রণি জানান, আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার গ্যাস্টোলিভার হাসপাতালে বিকাল ৩.০৩ টার দিকে তার বাবা ইন্তেকাল করেন। মরহুমের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা হাসপাতালে ছুটে যান।
সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের মরদেহ তার বনানীর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হবে।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে,
১৯৪৯ সালে শহিদুল ইসলাম মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম রাহাতুল্লা সরদার। আর মায়ের নাম ফজিলতুন্নেছা। চার ভাইয়ের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি মহেশপুর হাই স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষক থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ৯০ সালে। বিএনপিতে যোদ দিয়ে ১৯৯১ সালে শহিদুল ইসলাম মাষ্টার বিপুল ভোটে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় তহবিলের টাকা নির্বাচন শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ফেরৎ দিয়ে তিনি নজীর সৃষ্টি করেন।
এরপর তিনি আরো ৩ বার ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় অভুতপূর্ব উন্নয়ন কাজ সাধন করেন। তিনি বিদ্যু, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়ে ঝিনাইদহ জেলায় বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণে বিশেষ অবদান রাখেন।
বিশেষ করে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের আলোয় গ্রামগুলো আলোকিত করেন। তিনি মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার শত শত কিলোমিটার কাচা রাস্তা পাকা করেন।
এছাড়া রাস্তা, ব্রীজ, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরের ভবন নির্মান করে জনগনের আস্থা অর্জন করেন।
তার মৃত্যুতে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর নির্বাচনী এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতাকর্মীরা দলে দলে আসছেন প্রিয় নেতার বাড়ি মহেশপুরের ভালাইপুর গ্রামে। এদিকে মোঃ শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ জেলা ও মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগন শোক প্রকাশ করেছেন।