বিএনপি’র ঘরে বিদ্রোহ’,লড়াই হবে নৌকার সাথে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর

মহেশপুর(ঝিনাইদহ) থেকে আবুল হোসেন লিটন ঃ

বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত মহেশপুর পৌর সভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থীর সাথে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন বিএনপি’র দু’জন,জামায়াতের মনোনিত ¿ প্রার্থী ১জন ও বাংলাদেশ ইসলার্মী আন্দোলনের ১জন প্রার্থী ।পৌরসভায় মোট ভোটার ১৯ হাজার ২৩১ জন। এর মধ্যে পুরম্নষ ৯ হাজার ৬৩৫ ও মহিলা ৯ হাজার ৫৯৬ জন।

মহেশপুরের পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত একক প্রার্থী আব্দুর রশিদ খাঁন (নৌকা),বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজীব উদ্দৌলা (ধানের শীষ),বিএনপি’র বিদ্রোহী  প্রার্থী বর্তমান মেয়র  এ্যাডঃ আমিরম্নল ইসলাম খাঁন চুন্নু (জগ),জামায়াত মনোনীত বর্তমান কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম(নারিকেল গাছ) ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন মনোনীত তাহাবুর রহমান (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জেতার জন্য মাঠে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।

সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,বিএনপি’র দু’জন প্রার্থী হওয়াই ভোটের হিসাবে মুলত আওয়ামীলীগের নৌকার সাথে জামায়াতের ¯^Zš¿ প্রার্থীর নারিকেল গাছ প্রতীকে  প্রতিদ্বন্দিতা হবে।

গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের আব্দুর রশিদ খানকে ৩৬২ ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক আমিরম্নল ইসলাম খাঁন চুন্নু।তিনি পেয়েছিলেন  ৬ হাজার ৫০৫ ভোটএবং  রশিদ খান পেয়েছিলেন ৬ হাজার ১৭৩ ভোট।

 আমিরম্নল ইসলাম খাঁন চুন্নু মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর হতে বিএনপি’র দলীয়  কর্মকান্ডে তার সম্পৃক্ততা কমতে থাকে।দলীয় নেতা কর্মীরা তার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে থাকে।মেয়র পৌর এলাকার উন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখতে না পারায় পৌরবাসীর বিরাগভাজন হয়ে পড়েন। বর্তমানে পৌর সভার নিকট ১কোট ৬০লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ও পাঁচ বছরের সরকারী ট্যাক্স ১০লড়্গ টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এ ছাড়া কর্মচারীতে ১৩ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের দাবীতে সম্প্রতি  বর্তমান মেয়রের অফিসে তালা মেরে কাজ কর্ম বন্ধ করে দিয়েছিল।

পৌর বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমিরম্নল ইসলাম খাঁন চুন্নুর দলীয় কর্মকান্ডে অংশ না নেওয়া ও পৌর এলাকার রাসত্মাঘাট,ড্রেনেজ ব্যবস্থা,পানি সরবরাহ সহ কোন উন্নয়ন না হওয়াই সাধারন বিএনপি’র কর্মীদের দাবীর মূখে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশ নেতৃ খালেদা জিয়া মহেশপুর পৌর মেয়র প্রার্থী হিসাবে তরম্নন সমাজ সেবক নজিবউদৌলাকে মনোনয়ন দিয়েছে।

 আমিরম্নল ইসলাম খাঁন বলেন,দলের মনোনয়ন না পেলেও সকল নেতাকর্মী আমার পড়্গে কাজ করছেন,আমিই জিতবো।

জামায়াতের কর্মী বর্তমান কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম মেয়র নির্বাচন করার জন্য দু’বছর থেকে ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। তা ছাড়া এবারের নির্বাচনে বর্তমান মেয়র নির্বাচন না করে তাকে সমর্থন দেওয়ার কথা দিয়ে গত নির্বাচনে তাদের সহযোগিতা নিয়ে ছিলেন। মহেশপুর পৌর এলাকায় জামায়াতের ৪হাজার ভোট আছে।বিএনপির একটি অংশের ভোট পাওয়ার ব্যপারে তিনি আশাবাদী। শহিদুল ইসলাম বলেন,বিএনপি বা বিএনপি’র  বিদ্রোহী প্রার্থীকে নয়,তার সাথেই আওয়ামীলগের প্রার্থীর প্রতিদন্দিতা হবে।

বিএনপি জোটের তিন প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা অনেকটা নিশ্চিত। তার পরও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা একতাবদ্ধ হয়ে ভোটারদের বাড়ী বাড়ী ভোট প্রার্থনা করছেন। আওয়ামীলীগের দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশী জেলা †¯^”Qv সেবক লীগের সহ সভাপতি সুলতানুজ্জানান  বলেন,আব্দুর রশিদ খানকে মেয়র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এখন আমারা  তাকে জিতিয়ে আনার জন্য আমরা কাজ করছি।মেয়র প্রার্থী আব্দুর রশিদ খাঁন ইনকিলাবকে বলেন,বিগতনির্বাচনে সামান্য ভোটে হেরে ছিলাম।এ নির্বাচনে জনগন যদি আমাকে ভোট দেন,তবে পৌরবাসীর উন্নয়ন ও সবধরনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাবো।তিনি বিজয়ের ব্যপারে আশাবাদী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মাওলানা তাহাবুর রহমানের জানানত ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ড়্গীন।

এ ছাড়া ১নং ওয়ার্ডে  নজরম্নল ইসলাম,আমিনুর,আলী হাফিজ,রম্নহুল আমিন,২ওয়ার্ডে শফিকুল,নিয়াজউদ্দিন,আঃ সালম.শাহাজান আলী,আবুল কাশেম, ৩নংওয়ার্ডে মহসিন,আলাউদ্দিন,রম্নহুলঅমিন,জাবেদইকবাল,খায়রম্নলইসলাম, ৪নং ওয়ার্ডে  আমাদুল ইসলাম,আলাউদ্দিন,শেখ হাসেম, আঃকাদের,হাফিজুর,হাসানুর,আলী হোসাইন,সিনথিয়ান  ৫নং ওয়ার্ডে  সোহাগ খাঁন,শ্যামপদ হালদার,আবু জাফর ৬নং ওয়ার্ডে আতিয়ার রহমান, মকবুল হোসেন,জাকির হোসেন ৭নং ওয়ার্ডে হজ্জেলহক,হাসেম আলী পাঠান  ৮নং ওয়ার্ডে আবু কালাম,বাবুল আক্তার,জাহাঙ্গীর হোসেন,সমশের আলী,তোতা মিয়া,আমির হোসেন,আঃ মালেক ও   ৯নং ওয়ার্ডে মমিনুল ইসলাম,আঃ খালেক,টিটু মিয়া ও রফিকুল ইসলাম  কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত  হওয়ার জন্য দিনরাত  ভোট প্রার্থনা করছেন।