ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে ৪৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩৩ জনই এসএসসির গণ্ডিই পেরোতে পারেননি। তাঁদের ১২ জন অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, ১২ জন অষ্টম শ্রেণি, পাঁচজন পঞ্চম শ্রেণি, তিনজন স্বাক্ষরজ্ঞান ও একজন সপ্তম শ্রেণি পাস। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৩ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে বিএনপির মনোনীত মোহা. নজিবউদ্দৌলাসহ তিন মেয়র পদপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
হলফনামা থেকে জানা গেছে, কাউন্সিলর পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডের আমিনুর রহমান (অষ্টম শ্রেণি), নজরুল ইসলাম (অষ্টম শ্রেণি), মো. রুহুল আমীন (পঞ্চম শ্রেণি) পাস। ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুস সালাম (পঞ্চম শ্রেণি), গিয়াস উদ্দিন (বিএ), আবুল কাশেম (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মো. শাহজাহান আলী (অষ্টম শ্রেণি) ও মো. শফিকুল আলম (এমএসএস) পাস।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাবেদ ইকবাল (এসএসসি), খায়রুল ইসলাম (এইচএসসি), মো. মান্দার আলী (অষ্টম শ্রেণি), মো. রুহুল আমিন মিন্টু (অষ্টম শ্রেণি) ও মো. আলাউদ্দীন (সপ্তম শ্রেণি) পাস। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবদুল কাদের বিশ্বাস (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মো. আলাউদ্দীন শেখ (পঞ্চম শ্রেণি), মো. আলী হোসাইন (অষ্টম শ্রেণি), মো. আলমগীর কবীর (অষ্টম শ্রেণি), মো. আশাদুল হক (স্বাক্ষরজ্ঞান), মো. হাবিবুর রহমান (পঞ্চম শ্রেণি), মো. হাসানুজ্জামান (এসএসসি), শেখ মো. হাশেম আলী (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন) ও মো. থিউপিল হোসেন (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন)।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের আবু জাফর (অষ্টম শ্রেণি), শ্যামাপদ হালদার (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন) ও মো. সোহাগ খান (এইচএসসি) পাস। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী আতিয়ার রহমান (অষ্টম শ্রেণি), মো. মকবুল হোসেন (স্বাক্ষরজ্ঞান) ও মো. মনিরুল ইসলাম (অষ্টম শ্রেণি) পাস।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হাশেম পাঠান (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন) ও বর্তমান কাউন্সিলর হজ্জেল হক (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন)। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবুল কাশেম (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মো. আমির হোসেন (অষ্টম শ্রেণি), মো. বাবুল হোসেন (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মো. মালেক মিয়া (এসএসসি), মো. সমশের আলী (স্বাক্ষরজ্ঞান) ও মো. তোতা মিয়া (পঞ্চম শ্রেণি) পাস। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবদুল খালেক (অষ্টম শ্রেণি), মো. মমিনুল ইসলাম (এম কম), মো. রফিকুল ইসলাম (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন) ও মো. টিটু (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন) বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলী হাফিজ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এস এম খায়রুল আনাম বলেন, যাঁরা জনপ্রতিনিধি হবেন, তাঁরা জনগণের জন্য কাজ করবেন। অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষগুলো আইনকানুন পড়বেন কীভাবে? তিনি মনে করেন, দেশে দল থাকবে কিন্তু দলীয়করণ হলে চলবে না। দলীয়করণ হলে শিক্ষিত মানুষেরা আসার সুযোগ পাবেন না। তবে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি মাপকাঠি নির্ধারণ করে দিলে ভালো হয়।