শেষের খবর ডেস্কঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা কসাইখানা খ্যাত ক্লিনিকগুলোতে ডাক্তার নার্স না থাকলেও একের পর এক অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে ক্লিনিক মালিকরা । মানুষকে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে টাকা কামানোর ধান্দায় মেতে উঠেছে এই অঞ্চলের ক্লিনিক ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, এই উপজেলায় ৩৪টি ক্লিনিক থাকলেও শুধুমাত্র ১৩টি ক্লিনিকের বৈধ কাগজপত্র আছে বলে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন জানিয়েছেন। তবে তাদেরকে সার্বড়্গণিক ডাক্তার ও প্রশিড়্গিত নার্স থাকার কথা থাকলেও একটিতেও ডাক্তার নার্স নেই। এই সংক্রানত্ম সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় ৯ †m‡Þ¤^i ঝিনাইদহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শিরিন ¯^cœv একদল পুলিশ নিয়ে মহেশপুরে দুইটি ক্লিনিকে অভিযান চালায়। সেখানে ডাক্তার , নার্স না থাকায় শহরের সুমন ক্লিনিক ও সসত্মার বাজারে বেনামে তৈরী হওয়া শুভ ক্লিনিক সীল গালা করে দেয়। এসময় ক্লিনিক মালিকেরা পালিয়ে যায়।
উলেস্নখ্য গত মাসে মহেশপুরের ভৈরবায় জননী ক্লিনিকে ১১ জন রোগী অপারেশন করলে ৬ জন মারা যায় এবং এখনও ৫ জন মৃত্যু শয্যায় । এরকম মহেশপুরের পাতিবিলায় গড়ে উঠা মহেশপুর প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড শুভ ক্লিনিকটি সার্জারী গাইনী মেডিসিন ডাক্তারদের নামের তালিকা লিখে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোগী ভর্তি করে। ডাক্তার দ্বারা অপারেশন করার কথা বলে শুবাস নিজেই কিছু কিছু রোগীকে অপারেশন করে। ঘুগরী গ্রামের লিয়াকত জানায় তার পেটের নাড়ী অপারেশন করতে শুভাস ২৫ হাজার টাকা চুক্তি করে। কোনরকম সুস্থ হলে আমাকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে পুণরায় ১৮ হাজার চুক্তিতে অপারেশন করে। সেখানেও ভাল না হওয়ায় যশোর কুইন্স হাসপাতালে যেতে বলে। কুইন্স হাসপাতালের ডাক্তার বলেন ভুল অপারেশনে পেটের নাড়ী পচে গেছে। পরে ঢাকায় রেফার্ড করা হলে আমি চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ আছি। তার কাছে টাকা ফেরত ও ভুল চিকিৎসা করার কথা বললে তার নিয়োগ কৃত ভাড়াটিয়া দালাল দিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া জানা যায় শুভাস একই লাইসেন্সে ২/৩ট্ি ক্লিনিক পরিচালনা করে। এলাকাবাসী এই ক্লিনিক সহ যেসব অবৈধ ক্লিনিক রয়েছে তা সীলগালা সহ ক্লিনিক মালিকদের বিরম্নদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছে।