শরিফুল ইসলাম, মহেশপুর(ঝিনাইদহ)থেকে:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা বি,এনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দীর্ঘদিন যাবৎ তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে । দলীয় কোন কার্যক্রম ঠিক মত পালন না করায় ও মাঠ পর্যায়ের দলের নেতাকর্মীদের খোজ না নেওয়ায় নেতা কর্মীরা নিষ্কৃয় হয়ে অন্য দলে যোগদান ও দল না করার সিদ্ধামত্ম নিচ্ছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে বি,এনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল হওয়ার পর থেকে মহেশপুরে বি,এনপিতে আর কোন কাউন্সিল না হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনে না ডাকায় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে দল ছাড়ার সিদ্ধামত্ম ও অন্য দলে যোগদান করার মত ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন বি,এনপির এক প্রভাবশালী নেতা ইউপি সদস্য ৫০ জন নেতা কর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। বর্তমানে বি,এনপির ৩ কান্ডারী দল ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। ঝিনাইদহ-৩ মহেশপুর- কোটচাঁদপুর আসনে ৩ বার বি,এনপির সাংসদ নির্বাচিত হয়। বি,এনপির দুর্গ ৩ ভাগে ভাগ হওয়ার কারণে আর কখনই এ আসনটি বি্,এনপির ঘরে যাবে না বলে মহেশপুরের সুধী সমাজের মমত্মব্য । কণ্ঠ শিল্পী মনির খান বি,এনপির কিছু কর্মী কে দল থেকে বের করে শ্যামকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বি,এনপি নেতা শাহানুর আলম ও পৌর বি,এনপির সেক্রেটারী সাইফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে কিছু কিছু কর্মসূচী এদিকে ওদিকে পালন করে। ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমান তিনি ইতিমধ্যে নিজেকে উপজেলা বি,এনপির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এম এ আহাদ কে নিয়ে একটি অংশ তৈরী করে কর্মসূচী পালন করছে। অপর দিকে সাবেক সাংসদ শহিদুল ইসলাম, তিনি একটি গ্রম্নপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। শহিদুল ইসলাম উপজেলা বি,এনপির সভাপতির পদে আছে। নিজে অসুস্থ থাকার কারণে বেশির ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করায় নেতা কর্মীদের তেমন একটা খোঁজ খবর নিতে পারেন না। যার কারণে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বি,এনপির অনেক কর্মসূচী দেয়া হলেও উপজেলা সদরে একটি কর্মসূচীও পালন করতে পারেনি। উপজেলার বাইরে খালিশপুর বাজার ও গ্রামাঞ্চলে তার নেতা কর্মীরা কিছু কিছু কর্মসূচী পালন করেছে। কণ্ঠ শিল্পী মনির খান বেশির ভাগ সময় ঢাকামুখী রাজনীতি নিয়েই ব্যসত্ম এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে তার যোগাযোগ তেমন একটা নেই বললেই চলে। অপর দিকে ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমানের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতোপ্রত ভাবে জড়িত থাকার কারণে বি,এনপির মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা তাকে একেবারেই মেনে নিতে পারেনি। যার কারণে খালিশপুর বাজার কেন্দ্রীক রাজনীতি করেন তিনি। ফতেপুর ইউনিয়ন বি,এনপির সভাপতি গোলাম ফারম্নক খান জানান মহেশপুরে বি,এনপি এখন আর নেই। বি,এনপিকে ভেঙ্গে তছনছ করার মুল নায়ক দলের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি। তার কারণেই দলের ভিতর এত নেতা তৈরী হয়েছে। আজমপুর ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা জানান মহেশপুরে বি,এনপি ৩ ভাগে ভাগ হওয়ার কারণে আমরা নেতাকর্মীরা কারও কর্মসূচীতে যাইনা। এমনকি আমার ইউনিয়নে ৭০% বি,এনপি সমর্থক দল করা ছেড়ে দিয়েছে। বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বি,এনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বানিয়ে শহিদুল মাষ্টার কে বহিষ্কার করে দলের কার্যক্রম শুরম্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরবর্তীতে শহিদুল মাষ্টারও তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। এতে পাল্টা পাল্টি বহিষ্কার খেলা চলতে থাকে সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী তে গুটি কয়েক লোক বি,এনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৩ ঘন্টার জন্যে খুলে আবার বন্ধ করে দেন। এখন কার্যালয়ের সামনে ফ্লাক্সি লোডের দোকান বসানো হয়েছে। বি,এনপির কার্যালয় দীর্ঘ দিন কেন খোলা হয় না। এ ব্যাপারে উপজেলা বি,এনপির এক অংশের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান পুলিশী মামলা হামলার কারণে কার্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে উপজেলা সদরের বাইরে আমাদের কার্যক্রম চালানো হয়। আর তার বিরম্নদ্ধে দল ভাঙ্গার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা বলে তিনি জানান।