বাবর আলী বাবু,মহেশপুর(ঝিনাইদহ)ঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে এসএসসি ফরম পূরনে প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বর্তমান সরকার যেখানে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় আগ্রহী করতে খরচ কমিয়ে সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে সেখানে বিদ্যালয় গুলোতে দ্বিগুন অর্থ নেওয়াটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সচেতন অভিভাবক মহল।
সরজমিনে দেখা গেছে, মহেশপুর উপজেলার জিন্নানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাকোসপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেবিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাঘাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাথরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যাদবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জলুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,পামত্মাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিআরএকেস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোপালপুর কোলাকলেজিয়েট স্কুল, এমপিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শংকরহুদা বামনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মান্দারবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইদ্রাকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাহাতুলস্না সর্দার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলহাজ্ব মফিজউদ্দিন একাডেমি থেকে শুরু করে উপজেলার প্রত্যেক বিদ্যালয় গুলোতে ১২২০ টাকার পরিবর্তে ২৫০০-২৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। মহেশপুরের উপজেলা প্রত্যন্ত গরীব অঞ্চল হওয়ার খেটে খাওয়া অভিভাবকদের পক্ষে এই দিগুন টাকা যোগানো খুব কষ্ট সাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করতে পাচ্ছে না এবং লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ্য হারিয়ে ফেলছে। অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা খুবই গরীর মানুষ, কোন ভাবে সংসার চালাই সেখানে ছেলে-মেয়ে ফরম পূনের এত টাকা আমাদের পক্ষে যোগার করাটা খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু যেখানে বোর্ডে ১২২০ টাকা করে নেওয়ার কথা সেখানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ক্ষমতার দাপটে আমাদের অতিরিক্ত ২৫০০-২৬০০ টাকা করে দিতে বাধ্য করছে।
অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে, পাথরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমানের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ১৮০০ টাকা করে নিচ্ছি। বোর্ডের নিধারিত মূল্য কত ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাতায় আছে খাতা না দেখে বলতে পারবো না। আপনি যেহতু জানেন না বোর্ডের নিধারিত মূল্য কত সেহেতু কিসের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী টাকা নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদউত্তর দিতে পারেন নাই।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল বারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের কাছে বোর্ডের কোন নিধারিত মূল্য আসেনি। তবে মানবিক বিভাগের জন্য ১২০০ ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১৪০০ টাকা করে নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকরা কেন এতো বেশি টাকা নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবারে তিনি বলেন, এই বিষয়টা আমার জানা নেই তবে তারা বোর্ডের সাথে আতাত করে এমন কাজটি করতে পারে।