মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গাড়াপোতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রীসহ ৬২ জনকে রাত্রে বিদ্যালয়ে রেখে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ সুযোগে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাফিজুর রহমান গত রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্রেণী কক্ষে শ্লীতাহানীর চেষ্টা করে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলেন। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়লে শিক্ষা কর্মকর্তা মামলা করার পরামর্শ দেন।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন বিদ্যালয়ের ছাত্র/ শিক্ষক ও গ্রামবাসীর সাথে বিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় কথা বলেন। পরে ঐ ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে ছাত্রীর সাথে কথা বলেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির নেতা আব্দুর রাজ্জাক, শহিদুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী, গাড়াপোতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম খোকন, গ্রাম্য মাতববার দাউদ হোসেন।
গ্রাম্য মাতববর দাউদ হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে ছাত্রী/ছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য মেয়েদের রেখে আজ আর শিক্ষকদের দিয়ে কোন কিছুই ভরসা করা যাচ্ছে না। আমরা লম্পট শিক্ষক হাফিজুর রহমানের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী জানান, ঘটনার পর থেকেই শিক্ষক হাফিজুর রহমান পলাতক রয়েছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এলাকাবাসীর চাপের কারণে পেরে ওঠতে পারেনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে রাত্রে পড়ানোর পরে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি শিক্ষকদের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। তিনি আরও জানান, এ ধরনের শিক্ষকদের আচারনের মেয়েরা কিভাবে লেখা-পড়া করবে।
তিনিও উক্ত শিক্ষককের শাস্তি চাই।