প্রেস বিজ্ঞপ্তি
জাতিয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম : সর্বস্তরের অংশগ্রহণ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ঝিনাইদহ নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য বিভাগ ও ব্র্যাক এ কর্মশালার আয়োজন করে।
গোলটেবিলি বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রীতি রঞ্জন দত্ত, ব্র্যাক এডভোকেসি ইউনিট, ঝিনাইদহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন ডা.মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, এমওসিএস, ঝিনাইদহ, সিভিল সার্জন অফিস।
গোলটেবিল বৈঠকে ঝিনাইদহ ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.একেএম কামালের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোঃ শফিকুল ইসলাম, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এম.সাইফুল মাবুদ, সভাপতি, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, শঙ্কর কুমার মহাজন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য সম্নবয়কারী, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি, খুলনা, ডা.রাশেদ আল মামুন, আবাশিক মেডিকেল অফিসার, সদর হাসপাতাল, ঝিনাইদহ, ডা.রাশেদা সুলতানা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা, ঝিনাইদহ, ডা.মোকাররম হোসেন, কনসালটেন্ট, সদর হাসপাতাল, ঝিনাইদহ, ডা.দুলাল কুমার চক্রবর্তি, সাধারণ সম্পাদক, বিএমএ, ঝিনাইদহ ও ডা.জাহিদ আহমেদ, উপ-পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, ঝিনাইদহ।
বক্তারা বলেন, ‘যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, এ কথার ভিত্তি নেই’ এই ভয়ানক প্রবাদটি এক সময় প্রচলিত ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করার পর এ রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ রুগিই ভাল হয়ে যাচ্ছে। ফলে এখন ‘যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, এক কথার ভিত্তি নেই’ এই প্রবাদ বাক্যটি শুরু হয়েছে।
ধারণা ছিল যক্ষ্মা একটি মরণ ব্যাধী। এক সময় কারো যক্ষ্মা হলে তার মৃত্যু অবধারিত এটা ভাবা হতো। যক্ষ্মা রুগির সাথে কেউ মিশতো না। কথা বার্তা বলতো না। আলাদা পত্রে খাওয়ানো হতো। এক কথায় যক্ষ্মা রুগিকে একঘোরে করে রাখা হতো। এ রোগের চিকিৎসা সেবাও ছিল ব্যায় বহুল। অযত্নে অবহেলা আর চিকিৎসার অভাবে অনেক যক্ষ্মা রুগিকে প্রাণ দিতে হতো। বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে যক্ষ্মা রোগের উন্নত চিকিৎসা সেবা বের হয়েছে। যক্ষ্মা কোন বংশগত রোগ নয়। ওষুধ খাওয়া শুরু করলে ২ সপ্তাহ পর সাধারণত এ রোগ আর ছড়ায় না। ঠিকমতো চিকিৎসা গ্রহণ করলে যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায় এবং রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন ও কাজকর্ম করতে পারে। যক্ষ্মা রুগিদের জন্য দামি খাবার না দিয়ে সাধারণত পুষ্টিকর খাবার খেতে দিলেই হয়। নারি-পুরুষ উভয়েরই যক্ষ্মা রোগ হতে পারে। সকলেরই চিকিৎসা সেবা নেওয়া প্রয়োজন।
গোলটেবিল বৈঠবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে অনেকেই মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তারা যক্ষ্মা রুগিকে চিহ্নিত করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পরমর্শ দেন।