এম আর বাবু, বিশেষ প্রতিনিধি: এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লুটটে জীবননগর ও জিন্নানগর এলাকা হতে তিল-সরিষা সংগ্রহ করে ভারতে পাচার করছে। দামুড়হুদা সীমান্তের কয়েকজন চোরাচালানীর মাধ্যমে তিল-সরিষা পাচার করা হচ্ছে। জীবননগর শহরের ও জিন্নানগর এলাকার বেশ কয়েকজন অসাধূ ব্যবসায়ী এ কাজে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এভাবে দেদারছে তিল-সরিষা ভারতে পাচার হওয়া অব্যাহত থাকলে এলাকার তেলের মিলগুলো সঙ্কটের মুখে পড়ে বন্ধ হয়ে যাবে এবং ভোয্যতেলের মূল্য বৃদ্ধি পাবে বলে ওয়াকিবহাল মহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভারতের বাজার থেকে বর্তমানে এদেশের বাজারে তিল ও সরিষার মূল্য বেশ ফারাক রয়েছে। ভারতের বাজারে প্রতমিণ তিল বাংলাদেশী টাকায় ৩ হাজার ২শ’ টাকা এবং সরিষার মূল্য ২ হাজার ৬শ’ টাকা। পক্ষান্তরে এ দেশের বাজারে প্রতিমণ তিলের দাম ২ হাজার ১শ’ টাকা এবং সরিষার দাম ২ হাজার ১শ’ ৫০ টাকা। এ সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লুটটে ভারতে এ তিল-সরিষা পাচারের কাজে নিয়োজিত হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার বেশ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে এ ভোয্যপণ্য বাজার করা হচ্ছে। জীবননগর শহরের ও মহেশপুরের জিন্নানগর এলাকার বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী এলাকার থেকে তিল-সরিষা সংগ্রহ করে দামুড়হুদা সীমান্তের ওইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। ভারতে তিল-সরিষা পাচার বন্ধ করা না গেলে এলাকার তেলমিলগুলো বন্ধ হওয়াসহ আগামীতে ভোয্যতেলের মূল্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।