মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু, বিশেষ সংবাদদাতা :
আজ রবিবার অবরোধে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্যাডার বাহিনী ও পুলিশের সাথে বিএনপি-জামায়াতের দফায়-দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে হাজার-হাজার বিএনপি-জামায়াতের কর্মী বাহিনী লাঠি হাতে ধাওয়া করে রাজপথ দখল করে। আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী ও পুলিশ এ সময় পালিয়ে যায়। রাজপথে একচ্ছত্র অধিপথ্য বিস্তার করে দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা ধরে তান্ডব চালায় জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডার বাহিনী। এসময় তারা বাস ষ্ট্যান্ডে রক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ১২টি মোটরসাইকেল আগুন লাগিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে পৌঁছুলে বিক্ষুব্ধ বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা তা ভাংচুর করে। এসময় পুলিশ এক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ও ৩ রাউন্ড সর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে। বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা এসময় ধাওয়া করে ওসি শাহজাহান আলী খানসহ ৪ পুলিশকে গণপিটুনি দিলে তারা মারাত্মকভাবে আহত হন। আহত ওসি একটি বাসার মধ্যে ঢুকে নিজেকে রক্ষা করেন। বিক্ষুব্ধ বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্যপক ভাংচুর করে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম রাজার মোবাইলের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট ও সেকেন্দার আলীর পরিবহন কাউন্টার ভাংচুর করে। এর আগে আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী উপজেলা বিএনপির (বাবু খান গ্রুপ) অফিস ভাংচুর করে। তারা এসময় উপজেলা বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম ও ৩ জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে আহত করে। পুলিশ ভোরে উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা হতে পুলিশ সুপার ও ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ২ প্লাটুন পুলিশ ও র্যাব জীবননগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে খবর পাওয়া গেছে।